,নিজস্ব প্রতিবেদক,ঈদগাঁও
উজান থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানিতে ঈদগাঁও নদীর বাঁশঘাটা কাঠের সাঁকোটি তলিয়ে গেছে। জনদূর্ভোগে পড়েছেন ১২/১৫ হাজার মানুষ।
২৫ মে সকালে এ প্রতিবেদক তলিয়ে যাওয়া সাঁকোটি দেখতে গেলে লোকজন এপার ওপারে পারাপার কালে কষ্টের চিত্র চোখে পড়ে।
জানা যায়,ঐতিহ্যবাহী ঈদগাঁও নদীর বাঁশঘাটার কাঠের সাঁকো দিয়ে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের লোকজন কোন না কোন কাজকর্মে দক্ষিন চট্রলার বৃহৎ বানিজ্যেক উপ শহর ঈদগাঁও বাজারে এসে থাকে। আবার পোকখালীর একটি অংশ এ সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচল করে যাচ্ছে। এদিকে জেলা সদরের একমাত্র নারী শিক্ষা প্রতিষ্টান ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রিয় স্কুলে আসা যাওয়াতে নিদারুন কষ্ট পাচ্ছে।
ইসলামাবাদ ও পোকখালী ইউনিয়নের ব্যবসায়ী, চাকরীজিবীসহ সর্বশ্রনী পেশার লোকজন চলা ফেরা নিয়ে নতুন করে বেকায়দায় পড়েছেন।
দীর্ঘকাল পর ঈদগাঁও নদীর বাঁশঘাটা এলাকার কাঠের সাঁকোটি (২৫মে) দিবাগত রাত্রে পানির শ্রোতে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষরা কষ্টের বিনিময়ে বাশষ্টেশন হয়ে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্টান কিংবা কর্মস্থলে আসতে হচ্ছে।
কয়েক পথচারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাঁশ ঘাটার ব্রীজটি নির্মান কাজ ধীরগতিতে চলছে। এই বছরও বর্ষা মৌসুমে আমাদেরকে দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বর্ষার শুরুতেই ইসলামাবাদবাসীর প্রধান যাতায়াত সড়কের বাঁশঘাটা সাঁকোটি তলিয়ে গেছে। এত কষ্ট মেনে নেওয়া যায়না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাঁশ ব্যবসায়ী জানান,তলিয়ে যাওয়া এই সাঁকোটি পার হয়ে ঈদগাঁও বাজারে কমপক্ষে দৈনিক ১২/ ১৫ হাজার লোকজন আসা যাওয়া করে থাকে। বর্তমানে চলাচল নিয়ে নিদারুন কষ্ট পাচ্ছেন মানুষরা।
ইসলামাবাদ আ,লীগ সাধারন সম্পাদক,ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বাঁশঘাটার সাঁকোটি তলিয়ে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লোকজন বর্তমানে কষ্ট করে পারাপার হচ্ছে।
ইসলামাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান নুর ছিদ্দিকের ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন