সৈয়দুলকাদের :
বদলে যাচ্ছে মহেশখালীর উপকূলের দৃশ্যপট। ইতোমধ্যে ৫৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুইটি সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে মাতারবাড়ি ও ধলঘাটায়। এ ছাড়া ২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। নভেম্বরে ৬০ কোটি ব্যয়ে আরো একটি সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে মহেশখালী উপকূলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
মহেশখালীর ধলঘাটা, মাতারবাড়ি ও কালারমাছড়ার উত্তরাংশে ইতোমধ্যে ৫৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে দুইটি সড়ক নির্মাণ কাজ ও একটির সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। এতে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রমের কারণে রাজঘাট, চালিয়াতলী ও মাতারবাড়ির সিএনজি স্টেশন এলাকায় ব্যাপক যানজটের লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মাতারবাড়ির রাজঘাট থেকে ধলঘাটার সাপমারার ডেইল পর্যন্ত একটি মহাসড়ক নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। যার প্রস্থ হবে প্রায় ১৫০ ফুট। এতে ব্যয় হচ্ছে সাড়ে ৩শ কোটি টাকা। রাজঘাট থেকে মাতারবাড়ির উত্তর পাশে সিঙ্গাপুর প্রকল্প পর্যন্ত ১৫০ ফুট প্রস্থ আরো একটি সড়ক নির্মিত হচ্ছে এতে ব্যয় হচ্ছে ২শ কোটি টাকা। কালারমারছড়ার চালিয়াতলী থেকে মাতারবাড়ি সিএনজি স্টেশান পর্যন্ত সড়ক সংস্কার করা হচ্ছে। জাইকার তত্ত্বাবধানে এ সড়কটি সংস্কার কাজ পরিচালিত হচ্ছে এতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২ কোটি টাকা। আগামি নভেম্বরে এই সড়কটি ২৪ ফুট প্রস্থ করে নতুন ভাবে নির্মাণ করবে জাইকা। এতে ব্যয় হবে ৬০ কোটি টাকা। এ ছাড়া ওই সড়কে নির্মিত হবে ৩টি ওভার ব্রীজ, যার প্রতিটিতে ব্যয় হবে ২কোটি ৬ লাখ টাকা করে। স্থানীয় সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিকের সহযোগীতা মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্প পর্যন্ত একটি বিকল্প সড়ক নির্মিত হচ্ছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ।
মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ জানিয়েছেন, এ তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পুরো উপকূলের দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। স্থানীয় সাংসদকে অবহিত করার পর এসব প্রকল্প গ্রহন করতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে তিনি সড়কের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। যেখানে মহাসড়ক হচ্ছে এসব এলাকায় এমন উন্নয়ন হবে তা কখনো কেউ কল্পনাই করেনি। যেখানে ধলঘাটায় যেতে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হত সেখানে অতি সহজেই যেকোন যানবাহন নিয়ে ধলঘাটায় যাওয়া যাবে।
ধলঘাটার ইউপি মেম্বার আজিজুল হক জানিয়েছেন, মহাসড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। মানুষ যা কল্পনা করেনি তাই বাস্তবায়ন হচ্ছে ধলঘাটায়। ইতোমধ্যে ধলঘাটা বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে। ধলঘাটায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ বাস্তবায়ন হলে আরো পরিবর্তন আসবে। আমরা চাই কাজের দ্রুত বাস্তবায়ন। তবে প্রকল্পের কাজের কারণে পরিবেশের দূষন হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাণা প্রিয় বড়ুয়া জানিয়েছেন, গৃহীত প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। চলমান কাজ ছাড়াও আরো অনেক উন্নয়ন প্রকল্প এ এলাকায় বাস্তবায়ন হবে। তবে সবই হবে পর্যায়ক্রমে।
মন্তব্য করুন