কক্সবাজার রিপোর্ট
উপরের এই শিরোনামটি -চোখ কপালে উঠার মত হলেও এতে রয়েছে নির্মম বাস্তবতা বুকফাঁটা আর্তনাদ-বেদনার দীর্ঘশ^াষ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে কক্সবাজার শহরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ১৯৮৭ সালে ¯œাতক উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকরীতে যোগদান করেন। স্বামী, ২ পুত্র ১ কন্যা নিয়ে সুখে দিনাতিপাত করে আসছিল। তবে ঘোর অমানিসা নিয়ে আসে ১ মাত্র কন্যা ঢাকাস্থ এক নামী বিশ^বিদ্যালয়ে এল,এল,বি অর্নাস অধ্যয়নকালীন সময়ে, ময়মনসিংহজেলার ছেলে ঢাকাস্থ এক ইউনিভার্সিটির বার,এট,ল কোর্সের ছাত্রের প্রতারণা ও ছলনাময়ি ভালবাসার শিকার হয়ে ধানমন্ডিস্থ কাজী অফিসে ২০ লাখ টাকা(বিনা অসুলে) দেনমোহরে ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে বিবাহ সম্পাদনের প্রেক্ষাপটে।
ছেলের পিতামাতারা কক্সবাজারস্থ শহরের উক্ত শিক্ষিকার নিজ বাসায় সম্পর্ক মেনে নেওয়ার মিনতি ও তাদের ভাল আচরণ প্রদর্শন করলে সরল বিশ^াষে সর্ম্পক মেনে নেয়। এবং দুই পরিবারের মধ্যে পারস্পারিক হৃদিক সম্পর্ক প্রতিষ্টিত হয়। অতপর বিয়ের প্রতিটি পর্ব অত্যন্ত জৌলুসের সাথে সম্পাদিত হয়।
এর কিছুদিন পর থেকে মেয়েকে বিভিন্ন বিষয়ে নিপিড়নের ফিসফিস আলাপ শুনা গলেও উক্ত শিক্ষিকা তেমন পাত্তা দেয়নি। বরং প্রতিমাসে ১৫-২০হাজার টাকা মাসিক খরচ বাবদ প্রদান করতেন।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে মেয়ের জামাইয়ের বার-এট-ল ফাইনাল ইয়ার ইংল্যান্ডে অবস্থান করা বাধ্যতামূলক হেতু ২০ লাখ টাকা প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। তখন উক্ত শিক্ষিকাকে টাকার জন্য ছেলে পক্ষ চাপ দিতে থাকলে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে রুপালী ব্যাংক কক্সবাজার শাখা হইতে গৃহ সংস্কার ও সামগ্রী ক্রয় দেখিয়ে ৯ লাখ টাকা লোন ও প্রফিডেন্ট ফান্ড হতে ৩ লাখ টাকা ধার নিয়ে ছেলে ও তার মাতাপিতাকে প্রদান করে। এই অর্থলিস্পু পরিবার বাকি টাকরা জন্য পুনরায় চাপ দিতে থাকে শিক্ষিকাকে। অন্যথায় বৈবাহিত স্মপর্ক ছিন্ন করবেন মর্মে হুমকি দেন।ইত্যবসরে ২০১৮ সালের আগষ্টের প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে বার এট ল করার জন্য ইংল্যান্ড পাড়ি জমান। পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী তার পরের মাসে উক্ত শিক্ষিকার কন্যাকে ডির্ভোস প্রদান করে। এবং তার দুমাসের মধ্যেই ক্লোজাপ তারকা খ্যাত তালাক প্রাপ্তা এক কন্যার জননীকে ডাক-ঢোল পিটিয়ে বিয়ে করেন। এদিকে উক্ত শিক্ষিকা সর্বসাকুল্যো বেতন পান ৩১,১০০ টাকা ৯ লক্ষ্য টাকা ঋনবাবদ ১৮,০০০ প্রফিডেন্ড ফান্ড অগ্রিম কর্তন ও জমা ১২হাজার সে হিসাবে তার বেতন আসে মাত্র ১১০০ টাকা
এতে উক্ত শিক্ষিকা অর্থ এবং সম্পর্ক দুটিই হারিয়ে উপরোন্ত ঋনগ্রস্থ হয়ে এখন পাগল প্রায়। সন্তানদের পড়া লেখা সংসারের ব্যায় ভার চরম টানাপোড়নে পড়ে নিজ সহায় সম্বল মাথা গুজারঠাই বিক্রি করার চেস্টা করছে বলে জানা যায়। জঘন্য হিং¯্র চরিত্রের এই মানুষ গুলোর নির্মম থাবায় ক্ষত বিক্ষত ঐ শিক্ষিকাও তার কন্যা কি নিরাপত্তা পাবে ? নাকি ফেনীর সোনগাজী নুসরাত জাহান রাফি ট্রেজেডির পূনরাবৃত্তির শিকার হবে। এ প্রশ্ন রেখে যান টেকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূক্তভোগী শিক্ষিকা দিলারা খানম।
মন্তব্য করুন