নবগঠিত র্যাব-১৫, রামু, কক্সবাজার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন কুতুপালং বাজারের দক্ষিন প্রান্তে টেকনাফ টু কক্সবাজার পাকা রাস্তার কালভার্টের দক্ষিন পাশের্^ ফুটপাতে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য (ইয়াবা) ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ৩০ জুলাই ২০১৯ খ্রিঃ আনুমানিক রাত ০২.৩০ ঘটিকায় অস্থায়ী র্যাব-১৫, রামু, কক্সবাজারের একটি চৌকস আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন উপরে বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে আসামী ১। জিয়াবুর রহমান (২৮), পিতা- সৈয়দ আলম, মাতা- নুর আয়শা, ২। মোঃ উসমান (১৯), পিতা- আহাম্মদ হোসেন, মাতা-সনজিতা বেগম, ৩। পুতুল আমিন (৩৪), পিতা-মৃত নুর আহাম্মদ, মাতা-মুসলিম খাতুন, সর্বসগ্রাম- কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২, ব্লক-ডি-৪, থানা- উখিয়া, জেলা- কক্সবাজার’দের হাতেনাতে গ্রেফতার করে এবং ২/৩ জন অজ্ঞাতনামা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, তারা সকলেই বাংলাদেশে আশ্রিত বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত্ত মায়ানমার নাগরিক এবং দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত আসামীদের দেহ তল্লাশী করে সর্বমোট ১৮০০ (এক হাজার আটশত) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকের (ইয়াবা) মূল্য আনুমানিক ৯ লক্ষ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মাহমুদুল হাসান
মন্তব্য করুন