মাহাবুবুর রহমান.
কক্সবাজারের বিভিন্ন হোটেলে বা খাবারের দোকানে গরুর মাংস থেকে চাইছে না সাধারণ মানুষ। এমনকি পর্যটকরাও গরুর মাংসে অনিহা প্রকাশ করছে বলে জানান হোটেল মালিকরা। সম্প্রতী কলাতলী সড়কের হোটেল রুপসী বাংলা,পউসী বাংলা,গাংচিব,দারুচিনি সহ অনেক হোটেলের মালিক এবং কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বর্তমানে বেশি ভাগ মানুষ হোটেলে গরুর মাংস খেতে চাইছে না। খাবারের ম্যানু বললে আগে অনেকে গরুর মাংস পছন্দ করতো কিন্তু ইদানিং গরুর মাংস বললে নাকরে দেয় প্রায় সবাই মাছ বা অন্যকোন তরকারি খেতে চাই। সম্প্রতী কক্সবাজার গরুর মাংসের বদলে ঘোড়া মাংস বিক্রি করা এবং সেটা জবাই করে মানুষকে খাওয়ানোএকটি সংবাদ সর্বত্র ভাইরাল হয়েছে তাই অনেকে সেটা জানে সে জন্য সাধারণ মানুষ এবং পর্যটকরা গরুর মাংস খেতে চাইছে না। এ সময় অনেকে বলেন সত্যি বলতে আমরা বাসাবাড়িতেও এখন গরুর মাংস খেতে বিব্রত লাগে ছেলেমেয়েরাও গরুর মাংস খেতে চাইছে না। এদিকে সেই মরিচ্যার কসাই মাহবু আদালতে স্বীকারুক্তি দিয়েছে সে ঘোড়া,কুকুর বিড়াল সহ অনেক প্রাণী জবাই করে মানুষকে খাইয়েছে সেই খবর পাওয়ার পরে আমার নিজেরা এখন গরুর মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। এদিকে খোজ নিয়ে জানা গেছে, কসাই মাহবুর মরিচ্যা থেকে দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন কসাইকে মাংস বিক্রি করতো তরা মধ্যে কক্সবাজারের শহরের উপজেলা বাজারের আজাদ এবং বড় বাজারের কসাই আব্বাসের নাম উঠে এসেছে। এছাড়া শহরের কলাতলী ষ্টেশন সহ লিংক এলাকার একাধিক কসাইকে সে মাংস সাপ্লাই করতো বলে জানিয়েছেন কসাই মাহবুর ভাই। এ ব্যপারে শহরের উপজেলা বাজারের কসাই আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,কসাই মাবু থেকে অনেকবার মাংস এসেছে আমার কাছে কোন সময ঘোড়ার মাংস দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। আমি নিজে দেখে গরুর মাংস কেটে নিয়েছি পরে শহরে এনে অল্প লাভে বিক্রি করেছি। একই ভাবে বড় বাজার এলাকার কসাই আব্বাস বলেন আমি এখন গর্জনিয়ে বাজারে যাচ্ছি তবে মরিচ্যার কসাই মাহবুর সাথে লেনদেন আছে তার কাছ থেকে মাংস এনেছি তার ভাইয়ের কাছ থেকে এনেছি। তবে ঘোড়ার মাংস আনার প্রশ্নই আসে না। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন কসাই জানান গরুর মাংসের নামে কি হচ্ছে সেটা বলতে গেছে অনেক বড় ঘটনা হয়ে যাবে। তবে আজাদ,আব্বাস সহ অরো কয়েকজনকে আটক করলে তাদের কাছ থেকে আরো তথ্য পাওয়া যাবে। এরা কসাই মাহবু থেকে নিয়মিত মাংস আনতো।
মন্তব্য করুন