শিরোনাম :
কক্সবাজারে মানবপাচার চক্রের ৪ সদস্য আটক : উদ্ধার ৭ বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতা ফুটবল : চ্যাম্পিয়ন মহেশখালী রানারআপ চকরিয়া বর্ণাঢ্য আয়োজনে ডিসি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন সাংবাদিক মাহীকে ভুল চিকিৎসা: তত্ত্ববধায়ক মোমিনকে বদলি, তিন সদস্য কমিটি গঠন জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত¡বধায়ক ডা: মুমিনের বদলী নতুন আসছেন ডা:মং টিংঞো ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ : ঘোনারপাড়ার নির্মল ধরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা কক্সবাজারে নকল কোর্ট ফি বিক্রি চক্রের ২ জন আটক রোহিঙ্গাদের প্রতিরোধে স্থানীয়দের সর্বাত্মক ভাবে এগিয়ে আসতে হবে সিরাজ আহমদ নাজিরের ২০ তম মৃত্যু বার্ষিকী কক্সবাজার ৩ আসনে প্রার্থী হিসাবে ঘোষনা দিলেন আতিক উদ্দিন চৌধুরী

সোহাগ ও জুবায়েরের রয়েছে শক্তিশালী ইয়াবা সিন্ডিকেট

রির্পোটার:
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : শনিবার, জুলাই ১৩, ২০১৯
  • 592 বার সংবাদটি পড়া হয়েছে
?

মাহাবুবুর রহমান.
সোহাগ এবং জুবায়েরের নেতৃত্বে রয়েছে শক্তিশালী ইয়াবা সিন্ডিকেট। ইয়াবা ব্যবসা নিরাপদ করতেই তারা স্থানীয় অনেকের সাথে আত্বীয়তা করে এবং বহু যুবককে সকাল বিকাল পকেট খরচের টাকা দিয়ে লালন পালন করতো। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তারা শুধু টেকপাড়া নয় সোহাগের নিজ জেলা হাতিয়া এবং জুবায়ের ভারুয়াখালী সহ অনেক জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছে ইয়াবা ব্যবসা।
৬ জুলাই র‌্যাবের জালে আটকা পড়ে ২০ হাজার ইয়াবা সহ টেকপাড়াতে অস্থায়ী ভাবে বসাবাস করা জুবায়ের খান নামের এক যুবক। তার সাথে মোঃ রিফাত নামের আরো এক ছিল। পরে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠে শহরের অন্যতম আবাসিক এলাকা টেকপাড়ার পাড়া মহল্লায়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে জুবায়ের আটক হওয়ার পর থেকে গাঁ ঢাকা দিয়েছে জুবায়েরের ইয়াবা গুরা সোহাগ। জানা গেছে সোহাগ প্রায় ১২/১৫ বছর আগে হাতিয়া জেলা থেকে অভাব অনটনে গুছাতে কক্সবাজার শহরে আসে। সেখানে তার আপন মামা বরফ ব্যবসায়ি শাহাবুদ্দিনের ছত্রছায়ার থাকে সে। প্রথমে সামান্য পানের দোকানে পান বিক্রি করলে বর্তমানে সোহাগের কোটি টাকা দামের কয়েকটি মাছ ধরার বোট রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। মূলত কয়েক বছর আগে থেকে সোহাগ ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে একবার ইয়াবা নিয়ে ধরা খেলে জেলও খাটে সোহাগ। এর পর থেকে আর প্রকাশ্য আসেনি সোহাগ। পরে তার স্ত্রী নিজেই বড় বড় চালান নিয়ে যায় হাতিয়া সহ বিভিন্ন জায়গায়। জানা গেছে তারা ইয়াবা ব্যবসা চালানো জন্যই স্থানীয় অনেকের সাথে আত্বীয়তা করে। এবং তার পেছনে কাজ করছে একটি শক্তিশালী বড় ইয়াবা কারবারির দল।
এদিকে সোহাগের বাড়ির পাশেই উত্তর টেকপাড়াতে ভারুয়াখালীর রুস্তমের বাসায় ভাড়া থাকতো তার আপন শ্যালক জুবায়ের সহ তার পরিবার। পরে সোহাগের গ্যাংয়ে যোগদান করে জুবায়ের অনেক বার ইয়াবা চালান করেছে বলে জানান তার বন্ধুবান্ধব। উত্তর টেকপাড়ায় একটি পানের দোকানের আড়ালে জুবায়েরের ইয়াবা ব্যবসা করতো যা বর্তমানে তার ভাই জুনায়েদ পরিচালনা করছে। জানা গেছে ভারুয়াখালীর রুস্তমের ভায়রা আহামদ আলীর ছেলে জুবায়ের বিয়ে করেছে শহরের বাহারছড়া এলাকা থেকে। সেই সুবাধে জুবায়েরের স্ত্রী সহ অনেকে খুচরা পর্যায়ে ইয়াবা পাচার করে বলে জানান অনেকে। এছাড়া সাতে আটক হওয়া রিফাত মূলত বাশঁখালীতে থাকলেও মাঝে মধ্যে উত্তর টেকপাড়া আর আর ম্যানশনের তার ভাইয়ের বাসাতে আসতো। সে সুবাদে প্রায় টাকার বিনিময়ে জুবায়েরের সাথে ইয়াবা পাচারে জড়িয়ে পড়ে। এবং তাদের সিন্ডিকেট ভারুয়াখালী থেকে শুরু করে বাহারছড়া এবং টেকপাড়া পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসীর দাবী দ্রুত এই সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের আটক করে ইয়াবা নির্মূল করা সময়ের দাবী।

নিউজটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই বিষয়ে আরো সংবাদ দেখুন
© All rights reserved © 2021 cox71.com
Developed by WebArt IT