শিরোনাম :
বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতা ফুটবল : চ্যাম্পিয়ন মহেশখালী রানারআপ চকরিয়া বর্ণাঢ্য আয়োজনে ডিসি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন সাংবাদিক মাহীকে ভুল চিকিৎসা: তত্ত্ববধায়ক মোমিনকে বদলি, তিন সদস্য কমিটি গঠন জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত¡বধায়ক ডা: মুমিনের বদলী নতুন আসছেন ডা:মং টিংঞো ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ : ঘোনারপাড়ার নির্মল ধরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা কক্সবাজারে নকল কোর্ট ফি বিক্রি চক্রের ২ জন আটক রোহিঙ্গাদের প্রতিরোধে স্থানীয়দের সর্বাত্মক ভাবে এগিয়ে আসতে হবে সিরাজ আহমদ নাজিরের ২০ তম মৃত্যু বার্ষিকী কক্সবাজার ৩ আসনে প্রার্থী হিসাবে ঘোষনা দিলেন আতিক উদ্দিন চৌধুরী খুরুশকুল ফকির পাড়ায় জমি দখলের উদ্দেশ্যে বসতবাড়ীতে হামলা : আহত ৩

সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক’র পিতা, মরহুম এডভোকেট এস এএম রফিক উল্লাহর ৩৫তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

রির্পোটার:
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : রবিবার, মে ৫, ২০১৯
  • 937 বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

প্রেস বিজ্ঞপ্তি-
মহেশখালী- কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক’র পিতা এডভোকেট এস এ এম রফিক উল্লাহ’র ৩৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ। পরিবারের পক্ষ থেকে জাগিরাঘোনাস্থ পারিবারিক মসজিদ সহ বিভিন্ন মসজিদে খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে৷ পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
তিনি ১৯৮৪ সালের ৬ই মে আজকের এই
দিনে মহেশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়(বর্তমানে সরকারি) সভা শেষে কক্সবাজার আসার পথে এক নৌকা ডুবিতে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।

পেশায় আইনজীবী ও সমাজমনস্ক। রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে মানুষের কল্যাণে কাজ করায় ছিল তাঁর জীবনের ব্রত। তাই শেষ দিন পর্যন্ত মানুষের জন্য করে গেছেন তার পিতা মকবুল আহমদ আহমদ মোখতারের মতো। সমাজমনষ্ক একজন সেবক হিসেবে কখনো হার মানেন নি অন্যায়ের কাছে। যেখানে অন্যায় দেখেছেন সেখানে তিনি প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ করেছেন। আজীবন সমাজসচেতন এই মানবের জন্ম ১৯৩৭ সালের ২ ডিসেম্বরের এক শুভলগ্নে মহেশখালীর সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারে। পিতা মরহুম মকবুল আহমদ মোকতার ছিলেন মহেশখালীর ঋণ সালিশী বোর্ডের চেয়ারম্যান ও মা কুলসুম বেগম একজন সুগৃহিণী।
আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল একটি পরিবারের একমাত্র পুত্র সন্তান ভোগ বিলাসে গা ভাসিয়ে দেওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু এস এ এম রফিক উল্লাহ ছিলেন এর ব্যাতিক্রম। কৈশোর থেকে তার ধীরস্থির অথচ দৃঢ়চেতা প্রতিবাদী স্বভাব সবার দৃষ্টি কেড়ে নিতো। সমাজের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা, অসামঞ্জস্য কিশোর রফিক উল্লাহকে বিচলিত করতো। মহেশখালীর নিজ গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ শেষে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠ গ্রহণের জন্য কক্সবাজার ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। যেটি এখন কক্সবাজার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়। তিনি যখন কক্সবাজার ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন তখন পিতা কক্সবাজার মহকুমা আদালতের নাম করা আইনজীবী (যাকে আগে মোক্তার বলা হতো বেশি)।
তিনি যখন নবম শ্রেণির ছাত্র তখন বাংলার আকাশে সংঘটিত হয় রাষ্ট্রভাষা বাংলার আন্দোলন। বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের পথে প্রথম মাইল ফলক ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনে ওতপ্রোতভাবে জড়িত হন। ওই উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র খালেদ মোশাররফ (স্বাধীনতাযুদ্ধের সেক্টর কমাণ্ডার, স্বাধীনতা বাংলাদেশের সেনা প্রধান), আবদুল মাবুদ এখলাছী, আমিরুল কবির চৌধুরী (বিচারপতি), সালামত উল্লাহ (এডভোকেট, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় কক্সবাজার মহকুমা শান্তি কমিটির সাধারণ সম্পাদক), আখতারুজ্জামান চৌধুরী (তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক গফুরুজ্জামান চৌধুরীর ছেলে) প্রমুখের নেতৃত্বে সংঘঠিত ভাষা আন্দোলনের মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেন। আন্দোলনের প্রথম সারির একজন হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেন এবং ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত ভাষা দিবস পালনে যথেষ্ট ভূমিকা রাখেন।
১৯৫৪ সালে রফিক উল্লাাহ কক্সবাজার ইংরেজী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতীত্বের সাথে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হন। অতঃপর ১৯৫৬ সালে বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন বিদ্যাপিঠ চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ভর্তি হন। ওই সময়ে অনুষ্ঠিত হয় যুক্তফ্রণ্টের নির্বাচন এবং ওই নির্বাচনে একজন ছাত্রকর্মী হিসেবে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে সকলের দৃষ্টি কাঁড়েন। ১৯৫৬ সালে ওই কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আই.এ পাশ ভর্তি হন প্রাচ্যের অক্সপোট খ্যাত দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরবর্তিতে ১৯৫৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্থনীতি শাস্ত্রে স্নাতক (সম্মান) এবং মিলিটারী সায়েন্সে ডিপ্লোমা ডিগ্রী লাভ করেন। এ সময় বিশিষ্ট সাঁতারু হিসাবে ১০০ মিটার ব্রেস্ট-স্ট্রোক ও ১ মাইল ফ্রি-স্টাইল পুরস্কার লাভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে।
১৯৬০ সালে একই বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে এম এ ডিগ্রী লাভ করেন। এম এ পাশের একই বছরে তিনি জেলা মার্কেটিং অফিসার হিসাবে সরকারি চাকুরিতে যোগদান করেন। জাতীয় জীবনে অবক্ষয়ের দিনে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় চাকুরি জীবন অত্যন্ত উজ্জ্বল ও সততা এবং কর্মনিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। চাকুরিরত অবস্থায় তৎকালিন পাক সামরিক সরকার ১৯৬৮ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠান। একই বছরে ওহিও স্টেইট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং বিষয়ে এক বছরের বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্স শেষ করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে যোগাযোগ বিষয়ে সেমিনার সমাপ্ত করে বিশেষ সার্টিফিকেট লাভ করেন। একই বছর তিনি দেশে ফিরে আসেন।
সততা, দক্ষতা, চাকুরী জীবনে বিশেষ সুবিধা এনে দিলেও এলাকার মানুষের দুঃখ দুর্দশা সমাজের অব্যবস্থা অসমাঞ্জস্য সর্বোপরী পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি পশ্বিমাদের বিমাতাসুভল আচরণ বাঙালিদের স্বাধীকার, স্বধীনতার প্রশ্নে ছাত্র জীবন থেকে তার মন প্রাণ ছিল বিচলিত। দায়িত্বশীল সরকারি চাকুরীতে থাকার কারণে চাকুরী জীবনে সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত থাকতে না পারলেও বাঙ্গালীরদের অধিকার প্রশ্নে তৎকালীন রাজনীতির মূল স্রোতের (আওয়ামী লীগ) সাথে বরাবরই যোগাযোগ রাখতেন। স্বাভাবিকভাবে বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলনের সময় স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে মহেশখালী থানা সংগ্রাম কমিটির একজন হিসেবে বাড়ি বাড়ি চাঁদা, চালসহ যুদ্ধ সামগ্রি সংগ্রহ কালুরঘাট প্রেরণের জন্য কক্সবাজার মহকুমা সংগ্রাম কমিটির কোষাধক্ষ্য এডভোকেট মওদুদ আহমদের কাছে পাঠাতেন মহেশখালী সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক আবদুল্লাহ খান প্রমুখ

নিউজটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই বিষয়ে আরো সংবাদ দেখুন
© All rights reserved © 2021 cox71.com
Developed by WebArt IT