কক্সবাজার সরকারি কলেজের খতিয়ানভুক্ত জমি দখলে নিতে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে নানামুখী পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে। কলেজের জমিতে রাতারাতি স্থাপনাও করেছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। আদালতের নিষেধাজ্ঞাও মানেনি। অব্যাহত রেখেছে দখল প্রক্রিয়া। অবশেষে কলেজের নিজস্ব জমি দখল মুক্ত করতে মাঠে নেমেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।৫ মে দুপুরে স্বতঃস্ফূর্ত শিক্ষার্থীরা কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে ভূমি দখলদারদের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিবাদ জানায়।সবার কণ্ঠে ‘জীবন দেব জমি দেব না’, ‘দখলদারদের কালো হাত ভেঙ্গে দাও পুড়িয়ে দাও’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে আকাশ বাতাস।খবর নিয়ে জানা যায়, কলেজের খাতিয়ানভুক্ত বিএস দাগ-২৩৫১৩ এর অংশবিশেষ জনৈক এফাজ উল্লাহ ও স্থানীয় মৃত আব্দুর রশিদের পুত্র ছৈয়দুল হক যোগসাজশে বিগত ২০১৪ সাল হতে বিভিন্নভাবে উক্ত জায়গা জবর দখলের পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে। এ সম্পর্কিত বিভিন্ন সংবাদ বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ব্যাপকভাবে প্রকাশিত হয়। কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিষয়টি সম্পর্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর একাধিকবার পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও কক্সবাজারের স্থানীয় প্রশাসন বরাবর একাধিকবার স্মারকলিপি প্রদান করেছে। সর্বশেষ গত ২৭ এপ্রিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর ভূমি দখলদারদের অপচেষ্টা হতে কলেজের জমি রক্ষার্থে স্মারকলিপি প্রদান করে।
জানা যায়, বিগত ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর দখলবাজদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সিনিয়র সাব-জজ আদালতে একটি অপর মামলা নং- ৫৭৬/১৪ দায়ের করেন। আদালত ওই মামলার প্রেক্ষিতে কোন ধরণের স্থাপনা না করার জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী কুচক্রী মহলের সহায়তায় এফাজ উল্লাহ ও ছৈয়দুল হক উল্লেখিত জায়গায় বারবার স্থাপনা তৈরির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন