নিজস্ব প্রতিবেদক
শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার সন্ত্রাসি ও ছিনতাইকারি এম.ইউ বাহাদুর পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। চুরি, ছিনতাই, হত্যা, ডাকাতি প্রস্তুতি ও একাধিক নাশকতাসহ ডজন মামলার আসামী ও ছিনতাইকারি লিডার হয়েও এম.ইউ বাহাদুর হরদম নিজের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের দাবী তাকে গ্রেফতারের জন্য তার বসতবাড়িতে একাধিক অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু কৌশলে বাড়ীতে যাওয়া-আসার কারনে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ। তবে দ্রুত সময়ে ডজন মামলার আসামী বাহাদুরকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনার কথা জানান সদর মডেল থানা পুলিশ।
সূত্রমতে, শহরের স্টেডিয়াম পাড়া এলাকার মৃত মুস্তাফিজুর রহমানের ছেলে এম.ইউ বাহাদুর দীর্ঘদিন ধরে তার সন্ত্রাসি ও ছিনতাইকারি গ্রুপ দিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকাসহ পর্যটন এলাকায় ছিনতাই, সন্ত্রাসি কর্মকান্ডসহ নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে। তার ছিনতাইকারি গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ড তার ছোট ভাই জসিম বর্তমানে বর্তমানে ১০টি মামলার বুঝা নিয়ে কারাগারে রয়েছে। ছিনতাইকারি বাহাদুরের ছোট ভাই কারাগারে থাকা জসিম জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারি। পাশাপাশি বাহাদুরকে কয়েক মাস পূর্বে নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্ত্বে একদল পুলিশ কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশের সহযোগিতায় হাসপাতাল রোড থেকে আটক করে। এই সময় তার হাত থেকে উদ্ধার করা হয় ছিনতাইকৃত মোবাইল সেট। পরে ওই মামলায় তাকে পুলিশ নরসিংদি নিয়ে গেলে দীর্ঘদিন যাবৎ কারাভোগ করে বের হয় ছিনতাইকারি লিডার অপকর্মকারি বাহাদুর। বর্তমানে এই বাহাদুরের বেপরোয়া ছিনতাই ও নানা ভসে মাদক বিক্রি ও সেবনের কারনে অতিষ্ঠি হয়ে ওঠেছে শহরবাসী। তবে বাহাদুরের দাবী, তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে কোন মামলা নেই। যা আছে তা ষড়যন্ত্র মামলা। তাছাড়া মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসার সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। মূলত ইয়াবা ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারনে তাকে ইয়াবা ব্যবসায়ি হিসেবে বদ নাম দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজনের দাবী, এক সময়ের দুর্ধষ শিবির ক্যাডার স্টেডিয়াম পাড়ার ছিনতাইকারি লিডার বাহাদুর বর্তমানে নানা অপকর্ম করে তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারি হিসেবে পরিচিত হয়েছে। তার অপকর্মের কারনে অনেকেই অহসায় হয়ে জীবন যাপন করছে।
সার্কিট হাউজ রোডের জালাল উদ্দিন ও ব্যবসায়ি মোঃ শাহাজান বলেন, এই ছিনতাইকারির বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, নাশকতা, হত্যা ও ডাকাতি প্রস্তুতিসহ একাধিক মামলা থাকলেও পুলিশ কেন তাকে গ্রেফতার করছেনা এটাই জনে মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারন সে জেল থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে এই এলাকায় আবারো ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম বেড়ে গেছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফরিদ উদ্দিন খন্দকার পিপিএম বলেন, বাহাদুরের বিরুদ্ধে ৫/৬টি মামলা রয়েছে। তাকে ধরার জন্য কয়েকবার পুলিশ পাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন