শিরোনাম :
বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতা ফুটবল : চ্যাম্পিয়ন মহেশখালী রানারআপ চকরিয়া বর্ণাঢ্য আয়োজনে ডিসি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন সাংবাদিক মাহীকে ভুল চিকিৎসা: তত্ত্ববধায়ক মোমিনকে বদলি, তিন সদস্য কমিটি গঠন জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত¡বধায়ক ডা: মুমিনের বদলী নতুন আসছেন ডা:মং টিংঞো ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ : ঘোনারপাড়ার নির্মল ধরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা কক্সবাজারে নকল কোর্ট ফি বিক্রি চক্রের ২ জন আটক রোহিঙ্গাদের প্রতিরোধে স্থানীয়দের সর্বাত্মক ভাবে এগিয়ে আসতে হবে সিরাজ আহমদ নাজিরের ২০ তম মৃত্যু বার্ষিকী কক্সবাজার ৩ আসনে প্রার্থী হিসাবে ঘোষনা দিলেন আতিক উদ্দিন চৌধুরী খুরুশকুল ফকির পাড়ায় জমি দখলের উদ্দেশ্যে বসতবাড়ীতে হামলা : আহত ৩

রোহিঙ্গা শ্রমিকরা রাজস্ব বাড়াচ্ছে, স্থানীয়রা মাজাভাঙা

রির্পোটার:
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : শুক্রবার, জুন ২৩, ২০২৩
  • 222 বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

কক্স৭১,কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বহুল আলোচিত-সমালোচিত সাবেক সংসদ সদস্য আবদু রহমান বদি বলেছেন, টেকনাফ স্থলবন্দরে কাজ করা রোহিঙ্গারা দেশের রাজস্ব বাড়াচ্ছে। আর বন্দরে যেসব স্থানীয় শ্রমিক রয়েছেন তারা অল্পতেই দুর্বল হয়ে যান। তারা মাজাভাঙা শ্রমিক।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন ও স্থলবন্দরের আয়োজনে স্থলবন্দরে ব্যবস্থাপনা ও আমদানি সহযোগিতাকরণ সংক্রান্ত জরুরি মতবিনিময় সভা শেষে সাবেক এ সংসদ সদস্য সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ যুক্তি দেখান।অভিযোগ রয়েছে, টেকনাফ স্থলবন্দরের ৯৫ ভাগ শ্রমিক রোহিঙ্গা। প্রায় ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা টেকনাফ স্থলবন্দরে কাজ করছে। বন্দরের সংশ্লিষ্টরাই কমিশনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের টেকনাফ বন্দরে কাজ করার সুযোগ করে দিচ্ছেন। বিতর্কিত সাবেক এমপি বদির মদদেই রোহিঙ্গারা এই বন্দরে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে।এ কারণে সভায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল স্থলবন্দর রোহিঙ্গা শ্রমিকদের দখলে থাকার এই বিষয়টি। এ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ক্ষুব্দ হয়ে বদি বলেন, কক্সবাজারের কোথায় রোহিঙ্গা নেই? রোহিঙ্গারা সবখানে কাজ করছে। আপনারা শুধু বন্দরের রোহিঙ্গাদের দেখেন, বাকিগুলো দেখেন না। স্থানীয় শ্রমিকরা বন্দরে কাজ করতে রাজি না, যারা রয়েছেন তারাও শারীরিক দুর্বল। সাংবাদিকরা ৫০ জন করে শ্রমিকের নাম দেন, তাদের এনে বন্দরে নিয়োগ দেব। এরপর রোহিঙ্গা শ্রমিকদের আমি কাজ বন্ধ করে দেব।

টেকনাফ স্থলবন্দরের নাফ গেস্ট হাউজে অনুষ্ঠিত সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।  প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। সভায় পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরফানুল হক চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য জাফর আহমদ, টেকনাফ থানার ওসি মো. আব্দুল হালিম ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।সভা শেষে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। তিনি বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত মতে রোহিঙ্গাদের বাইরে কাজ করার সুযোগ নেই। সভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা শ্রমিকদের স্থলবন্দরে কাজ করার সুযোগ নেই।জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আমি স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছি। মিটিংয়ে আলাপ হওয়া সবকিছু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে। তবে শিগগিরই সব সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে স্থানীয়দের  এমন বাজে মন্তব্যে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে টেকনাফ সহ জেলার স্থানীয় শ্রমিক এবং সচেতন মহল। এ ব্যপারে কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাহাবুবুর রহমান বলেন,একজন জনপ্রতিনিধির কাছে স্থানীয়দের চেয়ে রোহিঙ্গারা কিভাবে আপন হতে পারে ? আসলে যারা রোহিঙ্গাদের দিয়ে অপরাধ কর্মকান্ড করিয়ে নিজেরা লাভবান হয় তারাই এমন মন্তব্য করতে পারে। আমি মনে করি সংবাদ আবদুর রহমান বদিকে কক্সবাজারের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। আর দ্রুত টেকনাফ স্থল বন্দর সহ সকল জায়গা থেকে রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে কাজ করা বন্ধ করার দাবী জানাচ্ছি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই বিষয়ে আরো সংবাদ দেখুন
© All rights reserved © 2021 cox71.com
Developed by WebArt IT