মাহাবুবুর রহমান,
কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনি থেকে শুরু করে আরআরআরসি,এনজিও কর্মকর্তা সহ অনেক সংস্থার হাতে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদে হয়রানী বন্ধে ৩ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন। এবং ৩ দিনের মধ্যে সাংবাদিক হয়ারানী বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না দিলে ভবিষ্যতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সব ধরনের সংবাদ বর্জন করার ঘোষনা আসতে পারে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২২ মে কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে দুপুর ২ টা থেকে শুরু হওয়া কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী। সভায় সাংবাদিক নেতারা বলেন,বর্তমান সময়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার সাংবাদিক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রায় সময় সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার হাতে ছবি তুলতে গিয়ে বা তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে নাজেহাল হয়েছে যা খুবই দুঃখ জনক। আমরা মনে করি সাংবাদিকরাই রোহিঙ্গা ক্যাম্প জঙ্গির আনাগোনা,প্রশিক্ষণ,রোহিঙ্গা ইয়াবা পাচার,মাঝিদের অপতৎপরতা,ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে এনজিওরা টাকা আত্বসাৎ,আরআরআরসি কর্মকর্তাদের কতর্ব্য কাজে অবহেলা,নানান অনিয়ম সহ বেশ কিছু সঠিক তথ্য নিয়ে বস্তু নিষ্ট সংবাদ হচ্ছে সেগুলো ধামাচাপা দিতে এবং রাষ্ট্রকে একটি বড় ধরনের সমস্যায় ফেলতে অনুমতির নামে সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাধা প্রদান করা হচ্ছে। ৩ দিনের মধ্যে এই অবস্থার পরিবর্তন না হলে এবং সাংবাদিকদের মর্যাদা রক্ষার ঘোষনা না আসলে কঠোর কর্মসূচীর ঘোষনা দেওয়া হবে বলে জানান নেতৃবৃন্ধ। সভায় বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, সিনিয়র সাংবাদিক প্রিয়তোশ পাল পিন্টু,তোফায়েল আহাম্মদ,আবদুল কুদ্দুস রানা,এড,আয়াছুর রহমান,এইচ এম এরশাদ,ফরহাদ ইকবাল,বিশ^জিৎ সেন বান্চু,দিপক শর্মা দিপু,মাহাবুবুর রহমান,শফিউল্লাহ শফি,রাশেদুল মজিদ,কামরুল ইসলাম মিন্টু, সুমন,তৌফিকুল ইসলাম লিপু,মোহাম্মদ শফি,নুপা আলম,সুজা উদ্দিন রুবেল,চঞ্চল দাশ সহ কর্মরত সাংবাদিকরা
মন্তব্য করুন