শিরোনাম :
৩ বছর ধরে কাজ ফেলে পালিয়েছে ঠিকাদার : পড়ে আছে প্রিপ্যার‌্যাটরী উচ্চ বিদ্যালয় ভবন কক্সবাজার স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন কলাতলী মোড়ে বসবে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য কোথায় হারালেন সেই ইমরান এইচ সরকার ? রামুতে সুফল প্রকল্পের চেক বিতরণ করলেন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবীতে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন পরিকল্পিত, নেপথ্যে আধিপত্য বিস্তার মাদক মামলা নিষ্পত্তিতে আলাদা ট্রাইব্যুনাল হবে : জেলা জজ উখিয়ায় রোহিঙ্গা মাঝিকে গুলি করে,কুপিয়ে হত্যা করেছে রোহিঙ্গারা ভিসা দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা দূতাবাসের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করল সৌদি

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন পরিকল্পিত, নেপথ্যে আধিপত্য বিস্তার

রির্পোটার:
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : সোমবার, মার্চ ১৩, ২০২৩
  • 27 বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

কক্স৭১
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত ও নাশকতামূলক। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এসব প্রমাণ পেয়েছে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি। রবিবার (১২ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা প্রশাসকের হাতে তদন্ত প্রতিবেদন তুলে দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান। প্রতিবেদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।
প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর প্রেস ব্রিফিংয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। তদন্ত করতে গিয়ে ৭৫ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য নিয়েছেন কমিটির সদস্যরা। একইসঙ্গে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদগুলোর তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়। সবকিছু মিলে প্রতীয়মান হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি পরিকল্পিত ও নাশকতামূলক। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে কে বা কারা আগুন দিয়েছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে এই জাতীয় ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য প্রতিবেদনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামলা, নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোসহ ১২টি সুপারিশ করা হয়েছে।
অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রতিটি ব্লকের রাস্তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি চলাচল উপযোগী করা, ব্লকের রাস্তার পাশে পানির চৌবাচ্চা তৈরি, আশ্রয়কেন্দ্রে ত্রিপলের পরিবর্তে ভিন্ন কিছু ব্যবহার; যা অপেক্ষাকৃত কম দাহ্য পদার্থের তৈরি, ক্যাম্পের জন্য পৃথক ফায়ার সার্ভিস ইউনিট গঠন, ক্যাম্পের অভ্যন্তরে যত্রতত্র মার্কেট করা থেকে বিরত ও বড় রাস্তার পাশ ছাড়া অন্য স্থানে দাহ্য পদার্থ আউটলেট করা থেকে বিরত থাকা, ঘনবসতিপূর্ণ ও অনেক স্থানে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে ক্যাম্পের প্রবেশমুখে লে-আউট স্থাপন, আগুন লাগলে নেভানোর কাজে রোহিঙ্গাদের অংশ নেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা তৈরি, ক্যাম্পের ব্লকে ব্লকে ওয়ারলেস টাওয়ার স্থাপন ও ৩৬০ ডিগ্রি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং এক ক্যাম্প থেকে অন্য ক্যাম্পের পালানো রোধে নিরাপত্তাবেষ্টনী স্থাপন করা।
এর আগে গত ৫ মার্চ বিকালে উখিয়ার বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় আগুন দ্রুত পার্শ্ববর্তী ৯ এবং ১০ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে। তিন ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ানকে প্রধান করে এ কমিটি করা হয়। কমিটিতে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের প্রতিনিধি, এপিবিএন, জেলা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

এই বিষয়ে আরো সংবাদ দেখুন
© All rights reserved © 2021 cox71.com
Developed by WebArt IT