এম আবুহেনা সাগর,ঈদগাঁও
পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে জেলা সদরের ব্যস্তবহুল বানিজ্যিক উপশহর ঈদগাঁওর মাছবাজারে মাছের অগ্নিমূল্যে হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতা সাধারন।
জানা যায়,প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় এবারো ঈদগাঁও মাছ বাজারে নানা ধরনের মাছের ভর পুর থাকলেও দ্বিগুন দাম নিয়ে বিপাকে পড়েছে বৃহত্তর ঈদগাঁওর ছয় ইউনিয়ন থেকে আগত নর নারী ক্রেতারা।
৬মে (সোমবার) বিকেলে কক্সবাজার প্রতিদিনের এ প্রতিবেদক মাছ বাজার পরিদর্শনে গেলে মাছ বাজার শেড়ে স্যাঁতস্যাঁতে ময়লা আবর্জনা আর পঁচাপানিতে দূর্গন্ধে বিষিয়ে উঠার দৃশ্য চোখে পড়ে। বাজার ঘুরে দেখা যায় যে,মাছ বিক্রেতারা ক্রেতাদেরকে চড়া দামে বিক্রি করছে। অনেকেই আবার অগ্নিমুল্য দিয়েও প্রথম রমজানের সেহেরীর জন্য মাছ কিনতেও দেখা গেছে।
তবে বাজারে ইলিশ ৫শত /৬শত,রুপচাদা ৪শত,
কালিইছা সাড়ে ৭শত /৮শত,পাঙ্গাস ১শত ৫০, তেলাপিয়া ১শত ৬০/৮০,বাটামাছ ৩শত ৫০/ ৪শত টাকায় বিক্রি করছে বিক্রেতারা।
আবার বহু ক্রেতারা মাছের দাম নিয়ে সন্তুষ্ট না হয়ে মহিষ/গরুর মাংস এবং মুরগীর দিকে ঝুঁকে পড়ছে। প্রতি কেজি ফার্ম মুরগী ১৫০ টাকা, লাল মুরগী ২২০/২৩০ টাকায় বিক্রি করছে।
কয়েক ক্রেতাদের মতে,বাজারে একদিন আগের মাছ তরুতাজা বলে বিক্রি করছে বিক্রেতারা। এতে আমরা (ক্রেতারা) মাছের প্রকৃত স্বাদ থেকে পিছিয়ে পড়ছি। রমজান মাসে মাছ ব্যবসায়ীদের
দ্বিগুন দামের বিষয়ে উদ্বর্তন কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনাও বাজার মনিটরিং করার দাবী।
ঈদগাঁও বাসষ্টেশনের ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান,মাছ ব্যবসায়ীরা সুদুর চট্রগ্রাম থেকে গ্যাসের মাছ আনলেও ঈদগাঁওর মাছ বাজারে এসব ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের সাথে প্রতারনা করে আজকের তরতাজা মাছ বলে বিক্রি করছে হরদম। রমজান মাসে রোজাদার দের সম্মান রক্ষার্থে তদন্ত পূর্বক এসব ব্যবসায়ী দের বিরুদ্বে বিহীন ব্যবস্থার দাবী জানান তিনি।
মন্তব্য করুন