প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক ও কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল বলেছেন, মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখলে যে মাছের চাষ বাড়বে তার কোনো বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ নাই। সাগরে টানা ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ রেখে জনগণের পেটে লাথি মেরেছে সরকার। শুধু মৎস্যজীবী পরিবার নয়, সব শ্রেণীর মানুষ এখন মাছের জন্য ভোগান্তির শিকার।
সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদ ও ঈদুল ফিতরের পূর্বে ক্ষতিগ্রস্ত জেলেসহ মৎস্যজীবীদের পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা প্রদানের দাবিতে কক্সবাজার জেলা মৎস্যজীবী দলের মানববন্ধনে লুৎফুর রহমান কাজল প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
রবিবার (২৬ মে) দুপুরে শহীদ সরণি সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কাজল বলেন, সাগরে সব ধরনের মাছ ধরার ট্রলার নিষিদ্ধ করায় প্রভাব পড়েছে বাজারে। পবিত্র রমজান মাসে চরম আকাল চলছে মাছের। মৎস্যজীবীদের পরিবারে চলছে চরম দুর্দিন।
তিনি বলেন, কক্সবাজারে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে যদি সরকার লালন পালন করতে পারে, জেলার মাত্র কিছু সংখ্যক জেলে সম্প্রদায়কে কেন পুনর্বাসন করতে পারবে না? সদিচ্ছা থাকলে মৎস্যজীবীদের পুনর্বাসন করবে সরকার।
তিনি আরো বলেন, দেশে ধানের দাম কমলেও চালের দাম কমেনি। আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় আছে। তারা নিজেদের স্বার্থ ছাড়া অন্য কোন স্বার্থ বিবেচনা করে না। অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা ছাড়া সরকারের কোন সফলতা নাই।
কক্সবাজার শহর অপরিচ্ছন্ন, অপরিকল্পিত ও নোংরা শহরে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়রকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, আপনি সম্ভব হলে সকালে ঘুম থেকে উঠে রিকশায় চড়ে শহরের অলিগলির কি অবস্থা ভালো করে ঘুরে দেখুন। কোথাও উন্নয়নের চিত্র চোখে পড়ার মতো নয়। পৌর এলাকার করুণ চিত্র। ময়লা-আবর্জনায় ভরে গেছে ড্রেনগুলো। নাগরিক সুবিধা পাচ্ছে না পৌরবাসী।
কক্সবাজার জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক ও পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সালামত উল্লাহ বাবুলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কক্সবাজার জেলার সাবেক সভাপতি হামিদ উদ্দিন ইউসুফ গুন্নু, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী পৌর কাউন্সিলর নাসিমা আকতার বকুল, জেলা মৎস্যজীবী দলের যুগ্মআহবায়ক রেদোয়ান ছিদ্দিকী, কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রিপন, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমুর রহমান ফাহিম, প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মৎস্যজীবীদের পুনর্বাসন না করে ঈদ মৌসুমের আগেই সাগরে মাছ ধরা বন্ধ করা চরম অমানবিক হয়েছে। সরকার গরীব দুঃখি মেহনতি মানুষের ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানায় বক্তারা।
মন্তব্য করুন