মাহাবুবুর রহমান.
কক্সবাজারের অন্যতম এনজিও সংস্থা মুক্তিতে দেওয়া সরকারের ক্ষুদ্রঋন কর্মসূচীর বিপুল টাকা আত্বসাৎ করেছে খোদ মুক্তির সাবেক প্রধান নির্বাহীর আত্বীয় স্বজনরা। ইতি মধ্যে মুক্তির নির্বাহী কমিটির সভায় ১৭ লাখ টাকা আত্বসাৎ সহ নানান অনিয়নের চিত্র উঠে এসেছে বলে জানা বেশ কয়েকজন সদস্য।
জানা গেছে,সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এনজিও সংস্থাকে ক্ষুদ্রঋন কর্মসূচী বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্টানকে পিকেএসএফের মাধ্যমে ২% থেতে ৩% সল্পসুদে ঋন দেওয়া হয়। সে হিসাবে কক্সবাজারের মুক্তি এনজিও কেউ প্রায় কোটি টাকার উপরে সেই ক্ষুদ্রঋনের টাকা দেওয়া হয়। যা মুক্তি আবার বিভিন্ন গ্রামে গঞ্জে সাধারণ মানুষকে ১২% থেকে ১৫% সুদে ঋন দেয়। তারি অংশ হিসাবে মুক্তির চট্টগ্রাম বায়েজিদ শাখার মাইক্রোর্কেডিপ প্রোগ্রামের ম্যানেজার পণব পাল চৌধুরী নিজের আত্বীয় স্বজনের নামে বেনামে বিপুল টাকা বিতরণ করে যার বেশির ভাগই অনাদায়ি তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সেই টাকার বেশির ভাগ টাকাই প্রনব পাল চৌধুরী নিজে আত্বসাৎ করেছেন। তবে বর্তমানে সেটা ধরপাকড় হওয়ায় তার বোন কিছুটাকা পরিশোধ করলেও এই চরম অনিয়ম সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। একই সাথে তার আপন ভাই একই প্রোগ্রামের কেরানীহাট শাখার দায়িত্বে থাকা জিসান চৌধুরী এবং একই শাখার কর্মকর্তা রায়হান মিলেও বিপুল টাকা সরকারি ভুয়া নাম ঠিকানা দিয়ে আত্বসাৎ করেছে। এবং মাঠ থেকে টাকা তুলে আনলেও তা জমা দেয়নি। জানা গেছে প্রণব পাল চৌধুরী এবং জিসান পাল চৌধুরী হচ্ছে মুক্তির অন্যতম পরিচালক এবং সাবেক প্রধান নির্বাহী ও সাধারণ সম্পাদক সুজিত চৌধুরীর শ্যালক। তাই এই বিপুল আর্থিক অনিয়ম হলেও কোন শাস্তি হচ্ছে না তাদের।জানা গেছে ২৭ মে এবং ২৯ জুন অনুষ্টিত মুক্তির নির্বাহী কমিটির সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হলে সুজিত চৌধুরী বর্তমানে উপস্থিত না থাকলে ও তার দাপটের কারনে বর্তমান কমিটি কোন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারছেনা। এদিকে অনেকের দাবী মুক্তিতে বর্তমানে অনেক দায়িত্বশীলদের পরিবারের লোকজনই চাকরী করছেন। এবং তারাই বেশির ভাগ গুরুত্বপূর্ন কাজের নিয়োজিত তাই সেখানে সব কিছুই হয় গুটি কয়েকজনের ইচ্ছামত। তবে এসব বিষয় নজরদারী আনার জন্য স্থানীয় প্রশাসন সহ এনজিও ব্যুরোর কাছে আহবান জানিয়েছেন সচেতন মহল।
মন্তব্য করুন