কক্স৭১
কক্সবাজার বিচার বিভাগে বিচারাধীন মাদক মামলাগুলো দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি করার জন্য অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মর্যাদার একজন বিচারক নিয়োগ দিয়ে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করার জন্য সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। এ প্রস্তাব সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে চূড়ান্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শনিবার (১১ মার্চ) সকালে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে “বিচার বিভাগীয় সম্মেলন-২০২৩” এর সভাপতির বক্তব্যে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এসব কথা বলেন।
সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারকে ইতিমধ্যে আধুনিক ও উন্নত জেলা হিসাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। কক্সবাজার বিচার বিভাগে ৪টি নতুন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত সৃষ্টি করেছেন। ইতিমধ্যে আরো ৪টি যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত সৃষ্টির বিষয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আধুনিক জেলায় পরিণত করার ক্ষেত্রে কক্সবাজার বিচার বিভাগকে যুগোপযোগী আধুনিককরন/ডিজিটালইজেশন করা জরুরী মর্মে তিনি মতামত ব্যক্ত করেন।
সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল আরও বলেন, কক্সবাজার বিচার বিভাগে বিচারাধীন মাদক মামলাসমূহ দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি করার জন্য অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদ মর্যাদার একজন বিচারক নিয়োগ দিয়ে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করার জন্য সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। এই প্রস্তাব সরকারের উর্ধ্বতন মহলে চূড়ান্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরন করে বিবাদী/প্রতিপক্ষের প্রতি সমন/নোটিশ জারীর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আইনজীবীদের পরামর্শ প্রদান করেন। এছাড়া, দেওয়ানী মোকদ্দমার ডিক্রী বাস্তবায়নের জন্য এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগীতার জন্য পৃথক “পুলিশ বাহিনী” গঠন বিষয়ে আইনজীবীবৃন্দ অভিমত ব্যক্ত করেন।
সভায় বক্তাগণ দীর্ঘদিনের পুরাতন মামলা এবং ছোট খাটো অপরাধের মামলা দ্রুততার সহিত নিষ্পত্তি করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। রোহিঙ্গা সংকটের কারণে জেলায় হত্যা ও মাদক মামলার আধিক্য রোধে রোহিঙ্গা অপরাধীদের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বক্তাগণ আহবান জানান।
“বিচার বিভাগীয় সম্মেলন-২০২৩” আয়োজনের জন্য বিজ্ঞ আইনজীবীগণ সিনিয়র জেলা জজ মহোদয়কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক (জেলা জজ) মোসলেহ্ উদ্দিন ও মোঃ নুরে আলম, বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আবদুল কাদের, নিশাত সুলতানা, বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদুল হাসান, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল মনসুর সিদ্দিকী, বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ সুশান্ত প্রসাদ চাকমা সহ জজশীপ/ম্যাজিস্ট্রেসিতে কর্মরত সকল বিচারক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে পুলিশ সুপার (পিবিআই) মোহাম্মদ সরোয়ার আলম, পুলিশ সুপার (সিআইডি) মোহাম্মদ সাহেদ মিয়া, পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু সুফিয়ান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাকিল আহামদ, সিভিল সার্জন সহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তারেক, বিজ্ঞ জি.পি মোহাম্মদ ইসহাক, বিজ্ঞ পিপি ফরিদুল আলম, বিজ্ঞ স্পেশাল পি.পি বদিউল আলম সিকদার, একরামুল হুদা, সৈয়দ মোঃ রেজাউর রহমান, সিনিয়র আইনজীবীদের মধ্যে এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, আ.জ.ম মঈন উদ্দীন, মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, মোঃ জাহাঙ্গীর, শামীম আরা স্বপ্না, এম জাকারিয়া সহ অন্যান্য সিনিয়র আইনজীবীগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন লিগ্যাল এই কর্মকর্তা (সহকারী জজ) সাজ্জাতুন নেছা ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মোঃ আসিফ।
অনুষ্ঠানে কোরআন তেলওয়াত করেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আখতার জাবেদ, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠ করেন জেলা জজ আদালতের সহায়ক কর্মচারী প্রদীপ চক্রবর্তী ও সেতু বড়ুয়া।
মন্তব্য করুন