সৈয়দুল কাদের
মহেশখালী উপজেলায় সরকার একাধীক মেগা প্রকল্পের জন্য বিপুল পরিমান জমি অধিগ্রহন করার কারণে অসংখ্য মানুষের পেশার পরিবর্তন হচ্ছে। পাশাপাশি সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের। এতে স্থানীয়রা যাতে সহজে নিয়োগ পায় এই লক্ষ্য নিয়ে অচিরেই একটি টেকনিক্যাল কলেজ স্থাপিত হচ্ছে মহেশখালীতে।
সরকারের একাধীক মেগা প্রকল্প মহেশখালীতে বাস্তবায়ন হওয়ায় সর্বক্ষেত্রে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন। যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে নিজেদের কর্মসংস্থানেও আসবে পরিবর্তন। তাই পেশা পরিবর্তন হওয়া লোকজনকে আধুনিক নতুন পেশায় উপযোগী করতে এবং আগামী প্রজন্মের জন্য কর্ম নিশ্চিত করতে স্থাপিত হবে টেকনিক্যাল কলেজ।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, সমগ্র মহেশখালী আধুনিকায়ন হবে। প্রতিটি কর্মসংস্থানেই স্থানীয়রা প্রাধান্য পাবে। সরকারের হাতে নেওয়া সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে মানুষের জীবন মানের ব্যাপক উন্নতি হবে। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি হবে স্থানীয় লোকজন। জমি অধিগ্রহনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সকলেই ক্ষতিপুরণ পাবে। এমনকি নির্ভরশীল লোকজনও ইতোমধ্যে ক্ষতিপুরণ পেতে শুরু করেছেন। যুগের পরিবর্তনের পাশাপাশি সবকিছুতে পরিবর্তন আসে। ঠিক তেমনই পরিবর্তন মহেশখালীতে আসবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হবে। ইতোমধ্যে মহেশখালী প্রধান সড়ক পুনঃ নির্মাণের জন্য ৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। তাই এলাকার লোকজনকে কাজের উপযোগী করে গড়ে তুলতে খুব অল্প সময়েই প্রতিষ্ঠিত হবে একটি টেকনিক্যাল কলেজ। স্থান চুড়ান্ত না হলেও সকলের সুবিধা হয় এমন স্থানেই প্রতিষ্টিত হবে এই গুরুত্বপুর্ণ কলেজটি। যাতে প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নের শিক্ষার্থীরা পড়ার সুযোগ পান।
কালারমারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, প্রকল্পের কারণে সবেচেয়ে বেশী জমি অধিগ্রহন হচ্ছে এই ইউনিয়নে। এ ছাড়া জেলার সর্বোচ্চ জনসংখ্যাও কালারমারছড়ায়। সকল ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভাল তাই টেকনিক্যাল কলেজটি এখানে হলেই সবাই উকৃত হবে।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শফিউল আলম জানিয়েছেন, উত্তরাংশের বৃহত্তর জনগোষ্টির জন্য এই কলেজটি খুবই গুরুত্বপুর্ণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। এটি হোয়ানক, ধলঘাটা, মাতারবাড়ি ও শাপলাপুরের মধ্যভাগে কালারমারছড়া ইউনিয়ন। তাই সকলের সুবিধার্থে কলেজটির স্থান নির্ধারণ করা উচিত।
মন্তব্য করুন