শিরোনাম :
কক্সবাজার পৌর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ১৪ নেতা বহিস্কার রাজবিহারী দাশে উপর ভরসা রাখছে ৮ নং ওয়ার্ডের ভোটাররা তুরস্কে ভোট গণনা চলছে, এগিয়ে এরদোগান রামুতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন করলেন-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক-সন্ত্রাস ঠেকাতে যৌথ অভিযান চালানো হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পৌর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ১২ কাউন্সিলর প্রার্থীকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার সেপ্টেম্বরের মধ্যে কক্সবাজারে রেল চালু হবে : রেল মন্ত্রী কক্সবাজারে ১২ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ, সেন্টমার্টিনে ১২‘শ। কোন প্রাণহানি ঘটেনি ঘূর্ণিঝড় মোখা: ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন

মগনামা আলিম মাদ্রাসার বিতর্কিত নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে আদালতে মামলা

রির্পোটার:
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : বুধবার, আগস্ট ৩, ২০২২
  • 168 বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা মাঝিরপাড়া শাহ রশিদিয়া আলিম মাদ্রাসায় ৮পদে জনবল নিয়োগের সম্প্রতি অনুষ্টিত হওয়া সেই ‘বিতর্কিত নিয়োগ’ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে অবশেষে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন কয়েকজন ভূক্তভোগী। গত মাসের ২৬ জুলাই সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, চকরিয়ায় মামলাটি দায়ের করা হয়। যার অপর মামলা নং ৩৮৭/২০২২ইংরেজী। আর এদিন মামলার বিবাদীদের প্রতি বিজ্ঞ আদালত সমন জারি করেন।
মামলায় বিবাদীরা হলেন, মগনামা মাঝির পাড়া আলিম মাদ্রাসা গভার্নিং বডির সভাপতি, নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও উক্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি ও একই অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মাহফুজা ইয়াছমিন, কক্সাবজার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও পেকুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে চকরিয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিজ্ঞ আইনজীবি এস এম হেফাজ উদ্দিন এ প্রতিবেদককে জানান, পেকুয়া উপজেলাধীন মগনামা মাঝির পাড়া শাহ রশিদিয়া আলিম মাদ্রাসায় বিগত ১৫/০৭/২০২২ ইংরেজী তারিখে অনুষ্টিত নিয়োগ পরীক্ষা বেআইনী, ভিত্তিহীন, অকার্যকর ঘোষনামূলক ডিক্রি প্রচার কররা জন্য মক্কেলের পক্ষে আমি মামনীয় আদালতে মামলা দায়ের করেছি। মাননীয় আদালত বিবাদীদের প্রতি সমন জারি নির্দেশনা দিয়েছেন। নিয়োগ পরীক্ষায় সীমাহীন অনিয়ম হয়েছে। তাই আমরা ন্যায় বিচার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আশা করি আমরা ন্যায় বিচার পাবো।
জানা যায়, গত মাসের ১৫ জুলাই সকাল ১০ ঘটিকার সময় মগনামা মাঝির পাড়া আলিম মাদ্রাসায় ৮ পদে জনবল নিয়োগের জন্য ডাকযোগে প্রার্থীদের ঠিকানায় অধ্যক্ষ স্বাক্ষরিত প্রবেশপত্র ইস্যু করা হয়। প্রবেশপত্রে উল্লেখিত সময় বিভিন্ন পদের প্রার্থীরা মাদ্রাসায় উপস্থিত হলেও সকাল ১০ঘটিকার সময় পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। পরীক্ষার্থীরা ১৫ জুলাই দুপুর ১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে। এই ফাঁকে অনেক পরীক্ষার্থী যার যার বাড়িতে চলে যায়। সকাল থেকেই নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুর উধাও হয়ে যায়। পরে দিনভর অনেক নাটকীয়তার শেষে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুর দুপুর ২ টার দিকে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজির প্রতিনিধি মাহফুজা ইয়াছমিনকে নিয়ে প্রাইভেট কার যোগে কক্সবাজার বিমান বন্দর থেকে মাদ্রাসায় পৌছান। এরপর বেশ তড়িগড়ি করেই বিকাল ৩ টার দিকে যে সব পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন শুধুমাত্র তাদের কাছ থেকেই লিখিত পরীক্ষা নেন। এরপর রেজাল্ট প্রকাশ না করেই লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে বিকালে মৌখিক পরীক্ষা নেন ডিজির প্রতিনিধি মাহফুজা ইয়াছমিন ও নিয়োগ কমিটি! এ দিন বিকালে মৌখিক পরীক্ষা নিলেও গতকাল ২ আগষ্ট বিকাল পর্যন্ত উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের রেজাল্ট মাদ্রাসার নোটিশ বোড,র্ সংবাদপত্রে বা মাদ্রাসার ফেসবুক একাউন্টে প্রকাশ করেনি নিয়োগে কমিটির সদস্য সচিব ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুর।

কয়েকজন চাকুরী প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, তারা এ ধরনের অনিয়ম-দূর্নীতির নিয়োগ পরীক্ষা আর কোথাও দেখেননি। সকাল ১০ টার পরীক্ষায় নেওয়ার জন্য প্রবেশ পত্রে উল্লেখ ছিল। বিভিন্ন পদে অনেক মেধাবী পরীক্ষার্থী যথাসময়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে মাদ্রাসায় উপস্থিত হন। কিন্তু নিয়োগ কমিটির চলচাতুরীর কারণে দুপুর ২ টা পর্যন্ত কোন পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। দুপুর আড়াইটার দিকে হঠাৎ করেই যে সব পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলে তাদের কাছ থেকে পরীক্ষা নিয়েছে। পরীক্ষার্থীরা আরো জানায়, নিয়োগ কমিটির পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে অধ্যক্ষ ও নিয়োগ কমিটি নানা টালবাহানা করেছে। তার এ ধরনের হটকারী ও প্রতারণামূলক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

অরো জানা যায়, মগনামা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে সংবাদপত্রে বিভ্রান্তিকর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের মোটা অংকের বিনিময়ে নিয়োগের জন্য অভিযোগ উঠেছিল। এ নিয়ে স্থানীয় একাধিক পত্রিকায় উক্ত মাদ্রাসার নিয়োগ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের বস্তুনিষ্ট ও তথ্যনির্ভর সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরই অংশ হিসেবে গত মাসের ১৫ জুলাই শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় প্রার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষা না নিয়ে মাদ্রাসা মিলনায়তনে বিকালে একটি ‘লোক দেখানো হাস্যকর’ পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে।
এদিকে উক্ত মাদ্রাসার সভাপতি ও অধ্যক্ষ’র পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য মোটা অংকের লেনদেনও হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। গত ১৫ জুলাই বিকালে তড়িগড়ি করে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করলেও গতকাল ২ আগষ্ট বিকাল পর্যন্ত নিয়োগ পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ করেনি নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুর।

নিউজটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

এই বিষয়ে আরো সংবাদ দেখুন
© All rights reserved © 2021 cox71.com
Developed by WebArt IT