মাহাবুবুর রহমান,
কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী থেকে দালাল সহ ১০ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা পরে তাদের পুলিশে সুপর্দ করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ এখানে আগে আসা বহু রোহিঙ্গা স্থানীয় ভাবে ঘরবাড়ি নিয়ে থাকে সেখানে গুপনে ক্যাম্প থেকে তাদের আত্বীয় স্বজন এসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছে এবং তারা ইয়াবা পরিবহণ সহ বিভিন্ন অপরাধ করছে। তাই আগে আসা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ঝটিকা অভিযান চালানোর দাবী সচেতন মহলের।
কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী থেকে ১০ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আটক কৃতরা হল-দালাল ইয়ামিন আরমান পিতা মোহাম্মদ সেলিম ঠিকানা বিজিবি ক্যাম্প এলাকা হলেও সে আগে আসা রোহিঙ্গার ছেলে এবং আটককৃতরা বেশির ভাগই তার আত্বীয় স্বজন। শওকত উল্লাহ পিতা ছালেহ আহামদ ক্যাম্প নং ১৪ ডি-৬,দিল মোহাম্মদ(৫৫) পিতা কাজী বকসু কুতুপালং ডি-৪,জাফর আলম(২৬) পিতা দিল মোহাম্মদ কুতুপালং ডি-৪,মোহাম্মদ হোসন(২৫) পিতা কালা মিয়া ব্লক ২৪,মোহাম্মদ রফিক(১৯) পিতা পেঠান আলী কুতুপালং ডি-৪,আসমা(৯) পিতা দিল মোহাম্মদ কুতুপালং-ডি-৪,শফি আলম(২০)পিতা দিল মোহাম্মদ কুতুপালং ডি-৪,হাশেম উল্লাহ (১৫) পিতা করিম উল্লাহ ক্যাম্প ৪ ব্লক ১৯,মিজান কুতুপালং ডি-৪। এ সময় আটককৃত রোহিঙ্গারা বলেন,দিল মোহাম্মদের ছেলে ছব্বির আহমদ বর্তমানে ইয়াবা পাচারের দায়ে কারাগারে আছে তার সাথে দেখা করতে এসেছিল তারা এবং এখানে তাদের মেয়ের বাড়িতে ২ দিন ধরে ছিল।
কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগের ৭ নং ওয়ার্ড সভাপতি জাফর আলম জানান,সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টার দিকে উক্ত রোহিঙ্গারা দল বেধে বাজার এলাকা থেকে যাওয়ার সময় তাদের পরিচয় জানতে চায়লে জানাতে পারেনি পরে আমি সহ স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে রাখে। জানা গেছে এখানে তারা আগে আসা রোহিঙ্গা যারা তাদের আত্বীয় স্বজন তাদের আশ্রয় পশ্রয়ে থাকে। পরে এখানে ইয়াবা পাচার সহ নানান অপরাধ করে। তাই দ্রুত আগে আসা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চিরুনী অভিযান পরিচালনা করার দাবী জানান। এবং যারা ইতি মধ্যে ভোটার আইডি কার্ড পেয়েগেছে তাদের সনাক্ত করে জাতীয় পরিচয় পত্র বাতিল করার দাবী জানান।
এ ব্যপারে সদর থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন,খবর পেয়ে রোহিঙ্গাদের থানায় আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় তিনি যে কোন এলাকায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় পশ্রয় না দেওয়ার জন্য জনগনের প্রতি আহবান জানান।
মন্তব্য করুন