মাহাবুবুর রহমান,
বাংলাদেশ আল মারকাসুল মাসাকিন ফাউন্ডেশন ( বিএমএম) নামক কথিক এনজিওর চাকরী প্রার্থীদের কাছ থেকে বিপুল টাকা হাতিয়ে নেওয়া সহ নানান অপকর্মের কারনে সংস্থাটির ৪ কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ। ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে কক্সবাাজর শহরের তারাবনিয়ারছড়া এলাকা থেকে শহীদ তিতুমীর ইনস্টিটিউট নামের একটি কেজি স্কুলে চাকরী প্রার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষা নেওয়ার সময় ধরা পড়ে এই নিষিদ্ধ এনজিওর কার্যক্রম। এনিয়ে ভুক্তভোগীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে থানার সামনে দিয়ে প্রতারনার তায়ে সেই সংস্থার কর্মকর্তাদের বিচারের দাবী জানান।
টেকনাফ উপজেলার থাইংখালী এলাকার মোঃ শহীদুল্লাহ,হ্নীলা এলাকার ওয়াজ করিম সহ অনেক ভোক্তভোগী জানান,বিডি জবসের মাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে প্রায় ১ মাস আগে বি.এম.এম ফাউন্ডেশনে চাকরীর আবদেন করি। সেখানে তারা ১৩ টি পদের জন্য চাকরী প্রার্থীদের আবেদন করতে বলেছে। সে হিসাবে গত সপ্তাতে ফিরতি এসএসসের মাধ্যমে জানিয়েছে ১৩ সেপ্টেম্বর শহরের শহীদ তিতুমীর স্কুলে পরীক্ষা হবে। এখানে আসে রেজিষ্ট্রেশন ফি বাবদ আমাদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে আদায় করে ভেতরে ঢুকিয়েছে। পরে দেখা যাচ্ছে পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন আমাদের হাতে দেওয়া হয়েছে। এবং ১৩ টি আবেদনেরজন্য অন্তত ১২০০ প্রার্থীকে ডাকা হয়েছে। সন্দেহ বেশি হয় যখন চেয়ারম্যান একটি টমটম(অটোরিক্সা) করে এসে ১৫০ টাকা ভাড়া দেওয়ার জন্য বাড়াবাড়ি করে। পরে তাদের সমস্ত কার্যক্রম সন্দেহজনক হলে আমরা তাদের কাগজ পত্র দেখতে চাইলে তারা কিছুই দেখাতে পারেনি। আর সংস্থার পেডে তারা গোপালগজ্ঞ টুঙ্গিপাড়ার ঠিকানা ব্যবহার করেছে। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে সাংবাদিকরা খবর পেলে সব কিছু পরিস্কার হয়ে যায় তারা প্রতারক। পরে পুলিশ এসে তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এ ব্যপারে সদর থানায় ওসি তদন্ত খায়রুজ্জামান জানান,চাকরী প্রার্থীদের সাথে প্রতারনার দায়ে এনজিও সংস্থার ৪ কর্মকর্তাকে জিঙ্গাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এবং যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তাদের টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে এবং তাদের প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করা হচ্ছে যদি সেখানে কোন অন্যায় কিছু ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আটককৃতরা হলো বাংলাদেশ আল মারকাসুল মাসাকিন এর চেয়ারম্যান মাসুম বিল্লাহ,পরিচালক অর্থ মোঃ আবু বাশার খান,পরীক্ষক ইউনুচ আলী এবং জালাল উদ্দিন। পরে চেয়ারম্যান মাসুম বিল্লাহ জানান তাদের সাথে কক্সবাজারের একজন কথাকথিক সাংবাদিক পরিচয়দানকারী আকতার হোসেন কুতুবী এবং একজন নারী কারা পরিদর্শক সহায়করা করছে। তবে এখনো পর্যন্ত এনজিওটি নিষিদ্ধ কিনা সে বিষয়ে জানা যায়নি।
মন্তব্য করুন