এম আবুহেনা সাগর,ঈদগাঁও
দক্ষিন চট্রলার গুরুত্বপূর্ন বানিজ্য কেন্দ্র সদরের ঈদগাঁওতে ধীরে ধীরে জমে উঠছে ঈদ বাজার। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমজানের ঈদই ব্যবসায়ীদের কাছে ব্যবসার রমরমা সময়। টানা এক মাস ধরে সব ধরনের পণ্যের ব্যাপক কেনা বেচাকে সামনে রেখে ঈদগাঁও বাজারের বিভিন্ন মার্কেট ও ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরগুলোতে বেচাকেনার ভীড় বাড়ছে একটু একটু। ১২ই মে বিকেলে বাজারের বিভিন্ন মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা যায়,ঈদ উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা অনেক আগে থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।
পূর্বেকার সময়ে ১৫ রোজা থেকেই ক্রেতারা ভীড় জমাত মার্কেটগুলোতে। বিগত কয়েকবছর ধরে এ সংস্কৃতিতে পরিবর্তন এসেছে। এখন মানুষ রোজা শুরুর পর থেকেই ঈদের কেনাকাটা শুরু করে দেয়। পোকখালীর থেকে আসা ক্রেতারা জানান,তারা শপিং করতে এসেছেন ঈদগাঁও বাজারে। এত আগে শপিং করতে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, দশ রোজার পর থেকে মার্কেট গুলোতে যানজট অনেক বেড়ে যায় সে কারনেই তারা মূলত আগেভাগেই কেনা কাটা সেরে নিচ্ছেন বলে জানান। বাজারে আসা নারী ক্রেতাদের মতে,আগে ভাগেই ঈদের কেনা কাটা সরুপ থ্রী পিচ দেখতে আসছি আমরা। রোজার শেষ দিকে কাজের চাপ এবং মার্কেট গুলোতে ভীড় থাকে। শেষ সময়ে কাপড়ের দোকানগুলোতে পছন্দের কাপড় হয়ত নাও থাকতে পারে। তাই আগেভাগে তারা পোশাক কেনাকাটা সেরে নিতে আসছে।
অন্যদিকে বাজারের অভিজাত এনাম কথ ষ্টোর, মনে রেখ,নিউ মার্কেট,বেদার মার্কেট,হাজী মার্কেট,হকার মার্কেটসহ বিপনী বিতান এবং ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরগুলোতে ক্রেতারদের একটু একটু ভীড় লক্ষ্যনীয়। পুরুষ ক্রেতাদের পাশা পাশি নারী ক্রেতাদেও ভীড় দেখা যাচ্ছে।
সাথে ছোট ছোট শিশুরাতো রয়েছে। এক ষ্টোরের
সত্বাধিকারীর মতে,শাড়ীর পাশা পাশি থ্রি পীচও লেহেঙ্গার কদরও কম নয় বিশেষ করে নারী ক্রেতাদের কাছে এবারের ঈদে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম একটু চড়া। টেইলার্স গুলোতেও ভীড় পরিলক্ষিত হয়েছে। মূলত রোজার সময় যানজট,ভীড় ও ঝামেলা এড়াতে রোজার শুরু থেকেই অনেকে কেনাকাটা শুরু করে দেন। সবমিলিয়ে ঈদগাঁওতে আস্তে আস্তে জমে উঠেছে ঈদের বাজার।
মন্তব্য করুন