মাহাবুবুর রহমান.
কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ডব্লিউএফপি যৌথভাবে একটি মিডিয়া তথ্যপ্রদান সেশন আয়োজন করে। সেখানে আর্ন্তজাতিক সেবা ও সহযোগি সংস্থার প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন। ২৯ এপ্রিল কক্সবাজারের তারকা হোটেল সাইমন হল রুমে সকাল ১০ টা থেকে শুরু হওয়া এ সেশনে ৩০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করে। এসময় আলোচনা উঠে আসে ডব্লিউএফপি কক্সবাজারের স্থানীয় জনগনের জন্য তথা সমস্ত বাংলাদেশে সেবামূলক এবং উন্নয়নমূলক যেসব কাজ করছে সেগুলো সম্পর্কে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে অবহিত করে। এসকল কাজের মধ্যে রয়েছে জীবিকা, পুষ্টি ও স্কুলে খাদ্য বিতরণ সংক্রান্ত কর্মকান্ড, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র পুনর্বাসন, বনায়ন কর্মসূচী, এবং বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে আর্থিক অবদান। ঊাংলাদেশে ডব্লিউএফপি’র প্রতিনিধি পিটার গেষ্ট বলেন, “ডব্লিউএফপি’র সবধরনের কাজ বাংলাদেশের পাঠক এবং দর্শকদের কাছে তুলে ধরার ক্ষেত্রে মিডিয়া এই সংগঠনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পার্টনার। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরো জোরদার করার ব্যাপারে আমরা দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করছি।” “মূল্যবান সময় ব্যয় করে এখানে উপস্থিত হয়ে গুরুত্বসহকারে বাংলাদেশের বিভিন্ন কমিউনিটিতে আমরা যেসব কাজ করছি সেবিষয়ে আমাদের বক্তব্য শোনার জন্য আমি সকল সংবাদমাধ্যমকর্মীদের ধন্যবাদ জানান তিনি। এতে ডাব্লিইএফপি বিষয়ে কার্যক্রম তুলে ধরেন হাফিজা খান,মেহরিন আহামদ,।” প্রিন্ট, অনলাইন, রেডিও এবং টেলিভিশনের সংবাদকর্মীরা এই সেশনে উপস্থিত ছিলেন। কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের বলেন, “যেহেতু কক্সবাজারে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে, তাই এটা জানা জরুরী যে সেবামূলক কর্মকান্ডে জড়িত কমিউনিটি এখানে কি করছে।” “এই প্রোগ্রাম ডব্লিউএফপি’র জন্য এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরী করেছে যার মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে সংগঠনটি তার কাজ সম্পর্কিত বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারে।” ডব্লিউএফপি ক্ষুধাশূন্য দেশ গড়তে বাংলাদেশে কি কি কাজ করছে সেই বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকর্মীরাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডব্লিউএফপি বিশে^র আশিটি দেশে যুদ্ধবিগ্রহ ও দুর্যোগে আক্রান্ত মানুষকে খাদ্যযোগানের মাধ্যমে উন্নত ভবিষ্যতের ভিত্তি রচনা করে চলেছে। পরে অংশ গ্রহনকারীদের সনদ প্রদান করা হয়।
মন্তব্য করুন