নবগঠিত র্যাব-১৫, রামু, কক্সবাজার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হাতিয়াগোনা করাচিপাড়া এলাকার জনৈক আবদুল হাকিমের বসতবাড়ীর সামনে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য ইয়াবা সিএনজির মধ্যে লুকায়িত অবস্থায় রেখে ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ২৬ মে ৫টার সময নবগঠিত র্যাব-১৫ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন উপরে বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী আব্দুল আমিন (২৮), পিতা-এ কে ফজলুল হক, সাং- জলিয়া বাপেরপাড়া তেতৈয়া, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার’কে হাতেনাতে গ্রেফতার করে এবং মাদক বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত সিএনজিটি (কক্সবাজার-থ-১১, ইঞ্জিন ও চেসিস নাম্বার অস্পষ্ট) জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অপর সহযোগী (ধৃত আসামীর স্ত্রীর ভাই) মজিবুর রহমান (২৯), পিতা, আবদুল হাকিম, সাং-হাতিয়াগোনা করাচিপাড়া, থানা- টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার সিএনজি হতে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, সে এবং পলাতক সহযোগী আসামী টেকনাফের সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ইয়াবা ক্রয় করে বিক্রয়ের জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ সংরক্ষণ করে আসছে। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীর দেখানো মতে সিএনজির পিছনের সিটের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় একটি কালো ব্যাগের ভিতর হতে সর্বমোট ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক বিক্রয়ের নগদ ৩,০০,০০০ (তিন লক্ষ) টাকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট এর আনুমানিক মূল্য ০৫ কোটি টাকা। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পলাতক আসমীকে গ্রেফতারের চেষ্ঠা অব্যাহত আছে বলে জানান অধিনায়কের পক্ষে সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মাহমুদুল হাসান মামুন।
মন্তব্য করুন