মাহাবুবুর রহমান.
কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থায় গ্রুপিং এখন প্রকাশ্য। আগে ঘরোয়া বিভিন্ন কর্মকান্ডে ডিএসএ কর্মকর্তাদের আলাদা মনোভাব দেখা গেলেও এবার জেলা প্রশাসককে ফুল দিতে দুই গ্রুপ আলাদা আলাদা ভাবে যাওয়ায় প্রকাশ্য হয়ে উঠেছে শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে মত বিরোধ।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক জনপ্রশাসন পদক লাভ এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রেষ্ট জেলা প্রশাসক হওয়ায় অনেকে এখন জেলা প্রশাসককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাচ্ছে তারি অংশ হিসাবে ২৮ জুলাই জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা এমন ছবি সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে ছবি আপলোড করে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন,ঠিকাদার জসিম উদ্দিন,যুগ্ন সম্পাদক হারুন উর রশিদ,সদস্য শাহিনুল হক মার্শাল,রাশেদ হোসাইন নান্নু,আলী রেজা তসলিম,জাহিদ ইফতেখার সহ আরো কয়েকজন। এদিকে ২৯ জুলাই সকালে আবারো জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে ফুল নিয়ে যায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদ অনুপ বড়–য়া অপু,সদস্য ও পৌর কাউন্সিলার হেলাল উদ্দিন কবির,সদস্য খালেদ আজম বিপ্লব,আজমল হুদা সহ বেশ কয়েক জন বিভিন্ন ইভেন্টের খেলোয়াড় এবং কোচরা। এই ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে অনেক ক্রীড়ামুদিরা বলে জেলা ক্রীড়া সংস্থায় দুটি গ্রুপ এখন সক্রিয়। তারা আলাদা আলাদা ভাবে কর্মসূচী পালন করছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বেশ কয়েক মাস ধরে জেলা ক্রীড়া সংস্থার অভ্যন্তরে গ্রুপিং চলে আসছিল। মূলত একটি পক্ষ বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অনুপ বড়–য়া অপু নিয়ন্ত্রন করছে আরেকটি পক্ষ দুই সহ সভাপতি দুই জসিম উদ্দিন নিয়ন্ত্রন করছে। তারা অনেকদিন ধরে একে অপরের প্রতিপক্ষ হিসাবে দাড়িয়েছে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে সদস্য রাশেদ হোসাইন নান্নু,সহ সভাপতি অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন এবং ঠিকাদার জসিম উদ্দিন বলেন, আপানা নিশ্চই জানান জেলা ক্রীড়া সংস্থার বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ৭ মাস আগে। মূলত আমরা গিয়েছিলাম নির্বাচন দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করার জন্য সেখানে দেখছি অনেকে ফুল নিয়ে গেছে সে জন্য আমরা তাৎক্ষনিক ফুল নিয়ে গেছি। তবে এটা সাধারণ সম্পাদককে জানানো হয়নি বলে শিকার করেন তারা। এছাড়া সদস্য রাশেদ হোসাইন বলেন,সামনে আমরা পুলিশ সুপারকে ফুল দিতে যাব ঠিক করেছি। এখন সেটা যদি প্রুপিং হয় তাহলে সেটাই।
অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক আবছার উদ্দিন বলেণ,আমি সঠিন জানিনা কি হয়েছে,তবে সেটা শুনেছি সেটা ভাল হয়নি। আমি চায় সবাই মিলে মিশে ক্রীড়ার উন্নয়নে ভুমিকা রাখুক।
সাধারণ সম্পাদক অনুপ বড়–য়া অপু বলেন,গ্রুপিং নেই তবে ভুলবুঝাবুঝি থাকতে পারে। সেটা তেমন কোন বড় সমস্যা না ঠিক হয়ে যাবে।
এদিকে জেলা ক্রীড়া সংস্থায় বর্তমানে প্রায় ২০০ জনের বেশি অবৈধ ভোটার আছে যারা লুডু,সাতাঁর,দাবা,ক্যারাম সহ অনেক ঘরোয়া খেলা দেখিয়ে ভোটার হয়েছে যেটা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে সবাই মরিয়া।
মন্তব্য করুন