মো. সাইফুল ইসলাম খোকন, চকরিয়া
তীব্র গরম উপেক্ষা করে ঈদের কেনা কাটা করতে বিপনি বিতান গুলোতে ভিড় জমাতে শুরু করেছে। যানজট আর গরমের মধ্যে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাদের পছন্দের পোশাক কিনতে ভিড় করছে। রমজানের শুরু থেকে মার্কেটে লোকজনের সমাগম না দেখে ব্যবসায়ীরা এক প্রকার হাল ছেড়ে দেয়। কিন্তু রমানের ২৫ থেকে জমে উঠে ঈদ বাজার। মানুষের উচ্ছেপড়া ভিড়ে দোকানিদের দম ফেলানোর সুয়োগ নিতে পাচ্ছেনা। মার্কেট গুলোর অলি- গলিতে মানুষের ভিড় যেন চোখে পড়ার মত।
চকরিয়া পৌরশহর চিরিঙ্গার অন্তত ২৫টি ছোট বড় বিপণি বিতান রযেছে। আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকেও প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ আসছেন কেনাকাটা করতে। বেশি বিক্রি হচ্ছে রকমারি শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবি, জুতাসহ ছোট ছেলে-মেয়েদের নানা রকমের পণ্য।
তবে বড় বড় বিপণি বিতানগুলোতে উচ্চ এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন বিকিকিনি করতে গেলেও একেবারে নিম্ন আয়ের মানুষের পছন্দের পোশাক ক্রয়ের স্থান হচ্ছে শহরের বিভিন্নস্থানে বসা ফুটপাতের ভাসমান দোকানগুলো। সেখানে নেমেছে ঈদের পোশাক ক্রয় করতে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ক্রেতারা বেশি ভিড় করছেন আনোয়ার শপিং কমপ্লেক্স,মতলব শপিং কপ্লেক্স, সিটি সেন্টার, ওয়েস্টার্ন প্লাজা, সুপার মার্কেট, নিউমার্কেট, ওশান সিটি, সমবায় মার্কেট, রূপালী শপিং কমপ্লেক্স, দুলাল সেন্টার ও বাবু মিয়া শপিং কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন বিপণি বিতানে চলছে এই বিকিকিনি।
এদিকে চকরিয়া পৌরশহরে আগত ক্রেতাদের নিরাপত্তায় পুলিশের একাধিক টিম পোশাকে এবং সাদা পোশাকে বিপণি বিতানগুলোতে দায়িত্ব পালন করছেন। এর পাশাপাশি নারী পুলিশ সদস্যরাও সাদা পোশাকে বিপণি বিতানে ঘুরছে ক্রেতাদের নিরাপত্তায়। এতে চোর, ছিনতাইকারী, ইভটিজার ও পকেটমারের উপদ্রব কমে গেছে। একইসঙ্গে পৌরসভার কমিউনিটি পুলিশ ও থানার পুলিশ মোড়ে মোড়ে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
নিউমার্কেটের আচল বস্ত্রালয়ের মালিক মাহমুদুল হক বলেন, ‘এবারের ঈদবাজারে নারীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বিদেশী বিভিন্ন আইটেমের শাড়ি। এর মধ্যে জামদানি, কাতান, চেন্নাই শাড়ির চাহিদা বেশি। একইসঙ্গে হাতের কাজ করা শাড়িও কিনছেন অনেকে। আবার বিভিন্ন নামের সালোয়ার কামিজেরও কদর বেশি রয়েছে এবারের ঈদে।’ তবে কমদামে দেশী তৈরী সুতি কাপড়ের চাহিদাও রয়েছে।
চকরিয়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রেজাউল হক সওদাগর বলেন, ‘ঈদ বাজারে আগত ক্রেতাদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বিপণি বিতানগুলোর পক্ষ থেকে।’
চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ঈদ বাজারে কোন ধরনের অপরাধ যাহাতে না হয় সে জন্য পুলিশের বিপুল সংখ্যক টিম দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া সাদা পোশাকে নারী সদস্যরা সক্রিয় ভাবে দায়িত্ব পালন করছে। ##
মন্তব্য করুন