নিজস্ব প্রতিনিধি,চকরিয়া
চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সোনাইছড়ি ছড়া খালের উপর নির্মিত ১নং স্লইচ গেইট দিয়ে পানি ছেড়ে না দিয়ে রাস্তা কেটে পানি সরবরাহ দেয়ার কারণে চেমছড়ি পাড়ার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে করে ওই এলাকার ১৫৩টি পরিবারে লোকজন ছাড়াও অর্ধশত শিক্ষার্থীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্তমানে ছড়া খালের পানি পার হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। বর্ষাকালে ছড়াখাল ভর্তি পানি হলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে বলে জানালেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, ইউনিয়নের সোনাইছড়ি ছড়া খালের ১নং স্লইচ গেইট লাগোয়া চেমছড়ি পাড়ার একটি চলাচলের রাস্তা ছিল। ওই রাস্তাদিয়ে স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত চলাচলে করে থাকে। ওই রাস্তাটি স্থানীয় নাছির উদ্দিন মেম্বার ও তার ভাইয়ের নেতেৃত্ব কেটে দিয়ে সোনাইছড়ি ছড়া খালের পানি নিচের দিকে ছেড়ে দেয়। এতে করে সোনাইছড়ি স্লইচগেইট লাগোয়া সড়কটির সাথে চেমছড়ি পাড়ার জনসাধারণের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
স্থানীয় সর্দার আলী আকবর, জাফর আলম, আবদুল হামিদ, জহির আহমদসহ বেশ কজন বৃদ্ধরা জানায়, পাড়ার লোকদের অর্থায়নে স্লইচ গেইটের সাথে প্রায় আড়াইলাখ টাকা খরচ করে ছড়া খালের উপর বাঁধ দিয়ে একটি রাস্তা তৈরী করে তারা। গত কয়েক সপ্তাহ আগে মেম্বার নাছির উদ্দিন ও তার ভাই মাষ্টার নেজাম উদ্দিন এবং স্লইচ গেইটের কমিটিরা ওই সড়কটি কেটে নিচের দিকে পানি ছেড়ে দেয়। তারা জানায়, রাস্তা না কেটে স্লইচ গেইট দিয়ে পানি ছেড়ে দিলে ওই সড়কটি ভেঙ্গে যেতনা। বর্তমানে সড়কটি ভেঙ্গে গিয়ে এখন চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন জানান, স্লইচ গেইট সংলগ্ন বাঁধটি কেটে না দিলে স্লইচ গেইটে ময়লা আবর্জনায় আটকে যাবে যার কারণে ওই বাঁধটি কেটে দেয়ায়। তবে চেমনি পাড়ার লোকজন প্রতিবছর সাকো দিয়ে চলাচল করে। এবারও নতুন ভাবে সাকো তৈরী করে চলাচল করবে। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগিরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
মন্তব্য করুন