কক্স৭১
কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন খুরুশকুল এলাকা থেকে এক জলদস্যু গ্রেফতার করেছে র্যাব ১৫। আটক ডাকাতের নাম মো: আলিম নুর প্রকাশ আলমগীর সে খুরুশকুল মনুপাড়া এলাকার মোহাম্মদ হাসেমের ছেলেন। র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারী বরগুনা জেলার এফবি ভাই ভাই নামীয় মাছ ধরার একটি ট্রলার পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানা এলাকা হতে যাত্রা শুরু করে । ট্রলারটি ৮/৯ ঘন্টা চলার পর পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালি থানাধীন সোনার চরে পূর্ব পার্শ্বে বঙ্গোপসাগরের পৌছলে পিছন দিক থেকে ২০/২৫ জনের জলদস্যু বোঝাই একটি ট্রলার এফবি ভাই ভাই নামীয় মাছ ধরার ট্রলারটিতে ডাকাতি ও লুটতরাজ করে। জলদস্যুরা সকল মাঝিদের এলোপাথারি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম ও নীলাফুলা জখম করে মাঝিদের টাকা, জাল, জ্বালানি তৈল ও সাথে থাকা মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। পরবর্তীতে জলদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নয়জন জেলে লাফ দিয়ে নিখোঁজ হলেও চারজন জেলে ফিরে আসে এবং বাকী পাঁচজন জেলের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে মুহূর্তের মধ্যে সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনায় জড়িত অপরাধীরা গ্রেফতার এড়াতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে চলে যায়। উক্ত ঘটনায় পটুয়াখালী জেলায় রাঙ্গাবালি থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয় যার নং-০৪/১১, তাং-২০/০২/২০২৩খ্রিঃ, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড। র্যাব-১৫ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবগত হওয়ার সাথে সাথে সিপিএসসি ক্যাম্পের আভিযানিক দল আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারসহ বিভিন্ন এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে ২৫ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজার জেলার খুরুশকুল এলাকা থেকে একজন সন্দেহভাজন জলদস্যুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উল্লেখ্য যে, ধৃত অপরাধী তার সহযোগী অপরাধীদের নিয়ে সমুদ্র এলাকায় চলাচলকারী নৌযানে ডাকাতি, অপহরণপূর্বক মুক্তিপণ দাবি, গুম, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করে থাকে।
গ্রেফতারকৃত জলদস্যুর বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে রুজুকৃত ডাকাতি মামলায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন