কক্স৭১
কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডস্থ ফকিরপাড়া গ্রামে জমি দখলের উদ্দ্যোশে দেশীয় অস্ত্র সহ জোরপূর্বক ঘরে প্রবেশ করে মারধরের ঘটনায় মহিলা সহ ৩ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। আহতের অনেকের অবস্থা আশংকা জনক। এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
খুরশকুল ইউনিয়নের ফকির পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে শফিউল হক বাদী হয়ে সদর থানায় দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শফিউল হকদের দীর্ঘ ৫০ বছরের দখলীয় বাড়িঘর সহ জমির উপর লুলোপ দৃষ্টি পড়ে পার্শবর্তী আবুল হোসেনের ছেলে মো: শাহাদাত,আরাফাত,আরিফ ও রোজিনা আক্তারের। তারি অংশ হিসাবে তারা দীর্ঘদিন ধরে মূলবান জমি দখলের জন্য হাকাবাকা করে আসছিল। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড় টার দিকে ঘরে কোন পুরুষ মানুষ না থাকার সুযোগে, শাহাদাত,আরাফাত,আরিফ,রোজিনা সহ আরো কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে। এ সময় বাধা দিতে আসলে শফিউল হকের বোন রেখা আকতার (২২) কে ব্যাপক মারধর করে। এতে রেখা আকতারের তলপেট সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত প্রাপ্ত হয়। এ সময় রেখা আকতারের অবস্থা আশংকা জনক দেখে তাকে উদ্ধারের জন্য শফিউল হকের স্ত্রী উম্মে কুলসুম (২৬) ও ভাতিজি নুসরাত জাহান সিফা (১৭) এগিয়ে আসলে ভুমিদস্যূরা তাদেরও চুলের মুষ্টি ধরে ব্যাপক মারধর করে। এ সময় ভুমিদুস্যরা তাদের হাতে থাকা দা,ছুরি,লোহার রড,হাতুড়ি,কিরিচ,লাঠিসোটা দিয়ে হত্যার উদ্দ্যোশে গুরুত্বর আহত করে। এ সময় তারা আরো উদ্দ্যেত হয়ে ঘরবাড়িতে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর করে এতে ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা বাড়িতে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার,মোবাইল সেট সহ মূল্যবান জিনিস পত্র নিয়ে যায়। এ সময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করার হুমকি দেয়। পরে রেখা আকতার সহ অন্যান্যরা আহত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা আমাদের খবর দিলে আমরা বাড়িতে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এদিকে এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ইতি মধ্যে তারা নানান ভাবে ষড়যন্ত্র করছে বলেও জানা গেছে। এদিকে ঘটনার আইনী প্রতিকার চেয়ে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিকে সন্ত্রাসীদের ভয়ে এখনো তটস্থ হয়ে আছে শফিউল হকের পরিবার। তারা যে কোন মুহুর্তে আবারো হামলা চালাতে পারে বলে আশংকা করছেন তিনি। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন সহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বারের কাছে নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা দাবী করেছেন তিনি।
মন্তব্য করুন