কক্সবাজার রিপোর্ট
চলমান ইয়াবা বিরুধী অভিযানে জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রভাব পড়লেও শহরের পার্শবর্তি খুরুশকুল ইউনিয়নে ইয়াবা কারবারীদের মাঝে কোন প্রভাব পড়েনি বলে মনে করছে স্থানীয় সচেতন মহল। তাদের দাবী সরকারের ইয়াবা বিরুধী কঠোর মনোভাবের কারনে অনেক জায়গায় খবর পাচ্ছি ইয়াবা ব্যবসায়িরা আত্বগোপনে বা এলাকা ছেড়ে চলে গেছে কিন্তু খুরুশকুলের বেশির ভাগ ইয়াবা ব্যবসায়িরা এখনো বীর দর্পে এলাকায় আছে এবং এখনো প্রতিনিয়ত তারা ইয়াবা পাচার হাতবদল এবং উঠতি বয়সের ছেলেরহাতে পৌছে দিচ্ছে। এতে নতুন করে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে অনেক যুব সমাজ। আবার অনেকে আছে সমাজে ভাল মানুষের মুখোশ পড়ে ঘাপড়ি মেরে বসে আছে তারা মনে করছে কেউ তাদের কূ-কৃত্তির কথা জানেনা বাস্তবে সবাই জানে কিন্তু অনেকে ভয়ে মুখ খুলে না।
এদিকে একটি বিশেষ সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া খুরুশকুল এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রায় দুই ডজন ইয়াবা ব্যবসায়ি এখনো খুরুশকুল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম ১ নং ওয়ার্ডে হেদায়েত উল্লাহ , ২ নং ওয়ার্ডে রাশেদ এই রাশেদ এর আগেও ইয়াবা নিয়ে চট্টগ্রামে ধরা পড়েছিল মাঝখানে অনেক দিন এলাকায় ছিলনা এখন আবার এসে মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসা শুরু করেছে বলে জানান এলাকাবাসী। ৩ নং ওয়ার্ডে রাস্তার পাড়া এলাকা,আতাউর রহমান ভুট্টু,৪নং ওয়ার্ডে মিঠু মেম্বারের ছেলে সোহরান,রাসেল কাওয়ারপাড়া,মনিরুল হক কুতুবজেরি,তারা স্থানীয় আলতাজের বাড়িতেই ইয়াবার মূল কাজ করে। এছাড়া দক্ষিন মামুন পাড়ার বাদশা,আলমগীর,জানাপাড়ার ইয়াবা ফরিদের ছেলে বেলাল,জানাপাড়ার মনজুর আলম,হাটখোলা পাড়ার মুন্না,উত্তর মামুন পাড়ার নৌমান,জোবায়ের,বেদারুল আলম,ডেইল পাড়া এলাকার রাসেদ উদ্দিন,পিতা মৃত নুরুল ইসলাম,আবদুল্লাহ পিতা আমির সুলতান,জিয়াবুল হক পিতা গোলাম রহমান,নুরুচ্ছফা পিতা আলী আকবর,সিরাজুউল্লাহ ও লোকমান হোসেন। শাহীন আলম পিতা জহুর আহামদ উত্তর মেহেদী পাড়া,মোহাম্মদ আলী ডেইল পাড়া,দক্ষিণ মামুন পাড়া নবাব মিয়া, ফিরোজ শাই,শাহজাহান,রেজাউল করিমএছাড়া কুলিয়া পাড়া , ভা্মুফিজুর রহমান প্রকাশ মানিক,জিয়ারু, জসিম প্রকাশ লম্বা জসিম,তার ভাই দিলদার, মোঃ রুবেল সহ অনেকে স্থানীয় ভাবে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত বলে জানান এলাকাবাসী।
এদিকে খুরুশকুল এলাকার সচেতন মহলের দাবী মাদকের ভয়াল থাবার হাত থেকে রক্ষা করা যাচ্ছেনা উঠতি বয়সের যুব সমাজদের। তাই দ্রুত মাদক বিরুধী অভিযান জোরদার করা প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন