মাহাবুবুর রহমান,
কক্সবাজার: ঘূর্ণিঝড় মোখার তান্ডবে কক্সবাজারে মোট ১২ হাজার বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান।রোববার (১৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। জেলা প্রশাসক বলেন, ১০ হাজার আংশিক, ২ হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেন্টমার্টিনে। সেখানে ১২০০ কাঁচা ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্তহয়েছে। বেশকিছু গাছপালা ভেঙে পড়েছে। সবার সহযোগিতার কারণে লোকজন ব্যাপকহারে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসায় হতাহত হয়নি বলে জানান জেলা প্রশাসক।মোখা দুর্বল হয়ে উপকূল দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে। এদিকে মোখার প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় সামুদ্রিক জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে এক থেকে দুই ফুট উচ্চতায় আছড়ে পড়ে।এর আগে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি উপকূলীয় এলাকার মানুষ আশ্রয় নেওয়ার জন্যে ৬৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেছিল। এর বাইরে কক্সবাজার শহরের ৬৮টি হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়।
এদিকে ঘুর্ণিঝড় মোখার প্রভাব কমে গিয়ে কিছুটা সস্তি ফিরেছে কক্সবাজার সহ উপকূলের মানুষের মাঝে। ১৪ সন্ধ্য থেকে কক্সবাজারে বন্ধ হয়ে গেছে বৃষ্টি এবং বাতাস। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে কক্সবাজার ঊপকূলকে ১০ নং মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এতে জেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ২ লাখ মানুষ তাদের বাড়ি ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। শনিবার বিকাল নাগাদ অনেকে তাদের গৃহপালিত গরু ছাগল নিয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। এ সময় অনেকে মহান আল্লাহ দরবারে শুকরিয়া আদায় করে বলেন,মহা বিপদ থেকে এক মাত্র রক্ষাকারী আল্লাহর রহমতে আমার নিরাপদে আছি,ঘরি বাড়ি নিরাপদে আছে এটা ভেবে ভাল লাগছে। কারনে যার বাড়িতে টিনের চাল উড়ে যায় সে বুঝে সেটা কি কষ্টের ত্রাণ বা সহায়তা দিয়ে সব কিছু হয় না। আল্লাহ আমাকে বাচিয়েছে এটার জন্য শুকরিয়া। এ সময় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সহ রাজনীতি বিদ,বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় দেখভাল করার জন্য সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানান সাধারণ মানুষ।
মন্তব্য করুন