মাহাবুবুর রহমান.
কক্সবাজার আদালত এলাকায় নকল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি বিক্রির অপরাধে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ কোর্ট পুলিশের অভিযানে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো ভেন্ডার মালিক মালেক ও সুকুমার। আটক সুকুমার প্রকাশ ভেন্ডারের কর্মচারী শহরের ঘোনারপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির মো: শাহজাহান নূরী জানান, আদালত এলাকায় কিছু লোক নকল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি বিক্রি করছে বলে সংবাদ পাওয়া যায়। পরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আকতার জাবেদ ও মুহাম্মদ এহসানুল ইসলামসহ অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে দুইটাকা, পাঁচ টাকা, দশ টাকাসহ বিভিন্ন মূল্যের নকল কোর্ট ফি উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,নকল কোর্ট ফি বিক্রি কারী আবদুল মালেক পিএমখালী ইউনিয়নের কাঠালিয়ামুরা এলাকার বাসিন্দা। মালেক ইতিপূর্বে নকল ষ্টাম্প বিক্রি করা সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল। তার এক নিকট আত্বীয় আইনজীবী থাকায় তার বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়নি আইনজীবী সমিতি। কয়েক মাস আগেও কক্সবাজার আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড,মোহাম্মদ তারেক ভেন্ডার মালেককে নকল ষ্টাম্প বিক্রি করার অভিযোগে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার জন্য মৌখিক ভাবে বলেছিল। জানা গেছে ভেন্ডার মালেকের আরেক ভাই ও নকল ষ্টাম্প ও কোর্ট ফি বিক্রি অপরাধে জেল খেটেছিল এছাড়া তার আরেক ভাই আরিফ সম্প্রতী ইয়াবা মামলা জামিন পেয়ে বেরিয়েছে। তার ভাই আরিফ কাঠালিয়ামুরা এলাকার একজন শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ি বলেও জানা গেছে।
এদিকে ভেন্ডার প্রকাশ বড়–য়া ও দীর্ঘদিন ধরে নকল ষ্টাম্প ও কোর্ট ফি বিক্রি করে আসছিল বলে জানা গেছে, গোপনে তিনি ঢাকা চট্টগ্রামের একটি সিন্ডিকেটের কাছ থেকে এসব নকল কোর্ট ফি এনে বিক্রি করতো আর সরকারের রাজস্ব ফাকি দিয়ে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিপুল টাকার মালিক বনে গেছে। প্রকাশ বড়–য়ার বাড়ি শহরের মোহাজের পাড়ায়। তবে অভিযানের সময় প্রকাশ বড়–য়া না থাকায় তাকে আটক করা যায় নি। তবে সংশ্লিষ্টদেরর দাবী প্রকাশ বড়–য়া হচ্ছে মুলহুতা তাকেও আটক করা জরুরী।
এ ব্যপারে কক্সবাজার আইনজীবী সমিতির সদস্য এড,মো: আবদুল্লাহ বলেন,কোর্ট বিল্ডিং কেন্দ্রীয় অনেক অপরাধী চক্র আছে,তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নকল ষ্টাম্প ও কোর্ট ফি বিক্রি চক্র। আমার মতে এই চক্রে আরো অনেকে থাকতে পারে। এছাড়া বেশ কিছু দালাল চক্র সারাদিক এখানে ঘুরাঘুরি করে।
আটক দুজনকেই থানায় দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন