শিরোনাম :
কক্সবাজার পৌর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ১৪ নেতা বহিস্কার রাজবিহারী দাশে উপর ভরসা রাখছে ৮ নং ওয়ার্ডের ভোটাররা তুরস্কে ভোট গণনা চলছে, এগিয়ে এরদোগান রামুতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন করলেন-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক-সন্ত্রাস ঠেকাতে যৌথ অভিযান চালানো হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পৌর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ১২ কাউন্সিলর প্রার্থীকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার সেপ্টেম্বরের মধ্যে কক্সবাজারে রেল চালু হবে : রেল মন্ত্রী কক্সবাজারে ১২ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ, সেন্টমার্টিনে ১২‘শ। কোন প্রাণহানি ঘটেনি ঘূর্ণিঝড় মোখা: ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন

কক্সবাজারের আইনজীবী নজীবকে জামিন দেননি হাইকোর্ট

রির্পোটার:
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, মে ৪, ২০২৩
  • 77 বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

কক্স৭১
কক্সবাজারে একজনের পরিবর্তে আরেকজনকে আসামি সাজিয়ে আত্মসমর্পণ করানো আইনজীবী নজিবুল আলম নজীবের জামিন নাকচ করা হয়েছে।বুধবার (০৩ মে) এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লা ও খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ওই আইনজীবীর আগাম জামিনের আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন আদালত।এসময় আদালত বলেন, যেহেতু তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে কাজেই কাজেই এ অবস্থায় তাকে জামিন দেওয়ার সুযোগ নেই। অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় আইনজীবী হলেও তাকে জামিন দেওয়া সমীচীন হবে না।
গত বছরের ৭ জুলাই রাতে রামু উপজেলার মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে বিজিবির হাতে ১৯ হাজার ৬৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার হন চাকমারকুল ইউনিয়নের পশ্চিম ৯নং ওয়ার্ডের মৃত মকতুল হোসেনের ছেলে সাইমন।
ওই রাতেই সাইমনকে আসামি করে মামলা করেন ৩০ বিজিবির হাবিলদার খলিলুর রহমান।মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান রামু থানার পুলিশ পরিদর্শক এসআই মোহাম্মদ আমির হোসেন। পরে আসামি সাইমনকে দুদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সাইমনের ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি অনুযায়ী সাইদুলকে মামলার ২ নম্বর আসামি করা হয়। এছাড়া সদরের খরুলিয়া ঝিলংজা ডেইঙ্গাপাড়ার রশিদ আহামদের ছেলে আমিনকে ৩ নম্বর আসামি করে ৩১ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্র ও আসামির স্বীকারোক্তি মতে, সাইদুল সিএনজি অটোরিকশা ক্রয় করে অন্য কারও নামে এটির মালিকানার কাগজপত্র তৈরি করেন। পরে ওই সিএনজি অটোর মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবা পাচার করেন। সাইদুলের কথামতো ওইদিন সাইমন কক্সবাজার সদরে ইয়াবার চালানটি পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। তবে তার আগেই সাইমন বিজিবির হাতে ধরা পড়েন। সাইদুলের বদলি হিসাবে জেলে যাওয়া শাহাজাহান তারই (সাইমন) আপন ভাই। ১৬ মার্চ সাইদুল সেজে কক্সবাজারের একটি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন শাহাজাহান। এর আগে সাইদুলের জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি পরিবর্তন করে নিজের ছবি জুড়ে দিয়েছিলেন তিনি। ওইদিন থেকেই শাহাজাহান কক্সবাজার জেলা কারাগারে।
অভিযোগ আছে, কোটি টাকার বিনিময়ে থানা পুলিশ ও আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে আদালতের সঙ্গে প্রতারণা করে তার বদলি আসামি হিসাবে শাহাজাহানকে আত্মসমর্পণ করিয়েছেন সাইদুল। অন্যদিকে টাকার বিনিময়ে এতে সহযোগিতা করেন কক্সবাজার জেলা জজকোর্টের ৩১৫নং সদস্য আইনজীবী নজিবুল আলম নজীব।
তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অন্য সব আসামির মতো শাহাজাহানও আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তার কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র চাইলে তিনি তা দেখান। জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি পরিবর্তনের বিষয়টি জানতেন না বলে জানান তিনি।জানা যায়, সাইদুলের অধীনে কক্সবাজারে শতাধিক ইয়াবা বহনকারী রয়েছে। তার ইয়াবার চালান নিয়ে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কক্সবাজার কারাগারে আছেন ১৩ জন। এসব আসামিকে কারাগারে দেখভালের দায়িত্বে আছেন পেরাক জসিম। কারাগারের বাইরে থেকে অর্থের জোগান দিচ্ছেন সাইদুল।মিয়ানমারের নাগরিক ইয়াবা কারবারি নবী হোসেন ও আরসারের আনাগোনা রয়েছে সাইদুলের বাড়িতে। স্থানীয়দের দাবি, রোহিঙ্গা ইয়াবা কারবারিদের ঘাঁটিতে পরিণত হয় তার বাড়ি।

নিউজটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

এই বিষয়ে আরো সংবাদ দেখুন
© All rights reserved © 2021 cox71.com
Developed by WebArt IT