মো.সাইফুল ইসলাম খোকন, চকরিয়া.
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম সমবায়ী প্রতিষ্ঠান কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির বহুল প্রতিক্ষিত ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন গতকাল রাত তিনটার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান। গত শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে সভাপতি, সহ-সভাপতি, সম্পাদক ও সদস্যসহ মোট ১২টি পদে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীছিল ৩২ জন।
সরজমিনে দেখা গেছে, নির্বাচনের দিন বদরখালী ও আশপাশের বাজার, স্কুলের মাঠে রঙ্গিন পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনে চেয়ে গেছে। ভোট গ্রহণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। বদরখালী কলোনিজেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট ৯টি বুথে প্রায় ১৫০০ সদস্যের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ১৩৩৪ জন।
ফলাফলে বিজীয় হয়েছেন, চেয়ার প্রতীক নিয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন হাজী নুরুল আলম সিকদার (প্রাপ্ত ভোট-৬৭১)। নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে দেলোয়ার হোছাইন এম এ পেয়েছেন ৬৪৪ ভোট। বাই সাইকেল প্রতীক নিয়ে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন আলী মোহাম্মদ কাজল (প্রাপ্তভোট-৭৬৪)। নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি মই প্রতীক নিয়ে আনছারুল করিম পেয়েছেন ৫৫১ ভোট।
এছাড়াও চাকা প্রতীক নিয়ে সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন নুরুল আমিন জনি (প্রাপ্তভোট-৭৮৬)। নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী দেয়াল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৫৩৩ ভোট।
সম্পাদকীয় পদ ছাড়াও সমিতির পরিচালক (সদস্য) পদে নির্বাচিত করা হয়েছে ৯ জন সদস্যকে। তারা হলেন, আবদুল আজিজ (বাল্ব প্রতীক, তার প্রাপ্ত ভোট ৫৬৯), হাফেজ আহমদ (তারা প্রতীক, প্রাপ্ত ভোট ৫৬১), জসিম উদ্দিন টিটু (মোমবাতি প্রতীক, প্রাপ্ত ৫২০), আহমদ আলী মাঝু (টেবিল প্রতীক, প্রাপ্ত ভোট ৫১২), মোহাম্মদ ইছহাক (চশমা প্রতীক, প্রাপ্ত ভোট ৪৮২), আলী আকবর (আম প্রতীক প্রাপ্ত ভোট ৪৭৫), কুতুব উদ্দিন (চিংড়ী প্রতীক, প্রাপ্ত ভোট ৪৬২), এ.এইচ.এম পারভেজ প্রকাশ মামুন (আপেল প্রতীক, প্রাপ্ত ভোট ৪৫৮) ও আবু তাহের (বাঘ প্রতীক, প্রাপ্ত ভোট ৪৪৬)।
অভিযোগ উঠেছে, সমিতির নির্বাচিতরা বেশীর ভাগ ভোটারদের টাকা দিয়ে মন জয়করার কারণে অনেক ভাল প্রার্থী পরাজয় বরণ করেছে।
মন্তব্য করুন