বার্তা পরিবেশক
কক্সবাজার শহরের পৌর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের উত্তর ডিককুল এলাকার বাসিন্দা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম গঠিত গ্রাম সরকারের তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান এবং বৃহত্তর ঝিলংজা ইউনিয়নের সাবেক ৩ বারের মেম্বার মরহুম আবদু শুক্করের পরিবারকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত শুরু করেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। একটি ঐহিত্যবাহী সম্রান্ত পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে ইতি মধ্যে বিপুল টাকা বিনিয়োগ করেছে উক্ত শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এলাকাবাসী জানান,উত্তর ডিককুল এলাকার মৃত আবদু শুক্কুরের পরিবারের ছেলেরা সু-প্রতিষ্টিত ভাবে ব্যবসা বানিজ্য করে বর্তমানে একটু ভাল ভাবে সমাজে চলাফেরা করছে বলে একই এলাকার কিছু শক্তিশালী মাফিয়া চক্র তাদের নানান অপকর্ম করতে পারছেনা। বিশেষ করে ভুমিদস্যু,মাদক বেচাকেনা থেকে শুরু করে রাষ্ট্র বিরুধী কর্মকান্ড গুলো করতে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে বলে মৃত আবদু শুক্কুরের ছেলেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ্ও আইনশৃংখলা বাহিনিকে ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের পরিবারকে বিপদে ফেলে নিশ্চিন্ন করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে উক্ত সিন্ডিকেট
উত্তর ডিককুল এলাকায় অসংখ্য মুরব্বি এবং সমাজ সেবকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মতে ডিককুল এলাকায় এখন থেকে ৫০/৬০ বছর আগে যে কয়েক টি বাড়ি ছিল তার মধ্যে মরহুম আবদু শুক্করের বাড়ি একটি। আর মরহুম আবদু শুক্কুর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে তৎকালীন গ্রাম সরকারের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়া তিনি বৃহত্তর ঝিলংজা ইউনিয়নের সাবেক ৩ বারের নির্বাচিত মেম্বার ছিলেন। এখানে তখন হাতে গুনা কয়েকটি বাড়ি ছিল আর এলাকায় বেশ সহায় সম্পদ এবং টাকা পয়সা ছিল সেই আবদু শুক্কুরের পরিবারের কাছে। তারা তখন থেকে সহায় সম্পদ ওয়ালা। পরে আবদু শুক্কুর মারা যাওয়ার পর তার বড় ছেলে খুইল্যা মিয়া তার ছোট ৬ ভাইকে সাথে নিয়ে খুব সন্দর করে সমাজে প্রতিষ্টা করে। বর্তমানে সবাই যে যার খেত্রে খুব সুন্দর ভাবে প্রতিষ্টিত এবং সমাজে মর্যাদাশীল। এলাকার মুরব্বিদের দাবী খুইল্যা মিয়া নিজেও ছোট বড় ব্যবসা বানিজ্য করেছেন আর খুইল্যা মিয়া বর্তমানে উত্তর ডিককুল জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বাস টার্মিনাল বড় কবরস্থান পরিচালনা কমিটির সভাপতি। তাদের অপর ভাই দিলু কিস্তিতে নেওয়া গাড়ী ও প্রবাসী ভায়রা থেকে টাকা ধার নিয়ে জমির ব্যবসা করে বেশ ভাল টাকা পয়সা আয় করেছে,তাদের ভাই সিরাজও বিভিন্ন ব্যবসা বানিজ্য করে,আর মোস্তাক এবং এহেসান বিভিন্ন ধান চালের ডিলার, সরকারি ও এম এসের ডিলার,সারের ডিলার,পার্কিং ইজারা নিয়ে ব্যবসা বানিজ্য করে বেশ সফল,তাদের আরেক ভাই ফিরোজ সরকারি শিক্ষা প্রকৌশল অফিসে চাকরী করে। মোট কথা সবাই সুন্দর ভাবে প্রতিষ্টিত ভাবে চলাফেরা করে। আসলে আমাদের বাঙ্গালীদের সভাব অনুযায়ী কেউ একটু ভাল করে চলাফেরা করলে তার শত্রুর অভাব থাকেনা। আবার কেউ চলতে না পারলে তাকে সহায়তা করার কেউ থাকে না।
এদিকে কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জল কর ও পৌর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ডাঃ পরিমল কান্তি দাশ বলেন,বাস টার্মিনালের পরে এক সময় জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধারন করে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামীলীগের রাজনীতি করার মানুষ ছিল না। সেখানে বেশির ভাগ জামাত বিএনপির লোকজনের আধিক্যতা ছিল। এর মধ্যে উত্তর ডিককুল এলাকায় খুইল্যা মিয়া সহ তার ভাইরাই প্রথম আওয়ীলীগের রাজনীতিতে এগিয়ে আসে। তারাই প্রথম দিকে আওয়ামীলীগের কর্মী হিসাবে কাজ শুরু করে। এর মধ্যে খুইল্যা মিয়া পৌর আওয়ামীলীগের নেতা,দিলু ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক,এহেসান ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে। তাই উক্ত আওয়ামী পরিবারেরকে নিয়ে কোন ষড়তন্ত্র করলে সেটা মেনে নেওয়া হবে না।
এদিকে স্থানীয় সাবেক ও বর্তমান বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি বলেন, খুইল্যা মিয়া সহ তার ভাইরা সমাজে ভাল ভাবে প্রতিষ্টিত,এবং সবাই অনেকটা অন্যায়ের প্রতিবাদী বলে অনেক খারাপ লোক তাদের পেছনে লেগেছে। আসলে সমাজে এখন একটি নতুন নিয়ম চালু হয়েছে কারো সাথে শত্রুতা হাসিল করতে হলে তাকে বিভিন্ন পত্রিকা বা অনলাইনে ইয়াবা ব্যবসায়ি হিসাবে চালিয়ে দিলেই যথেষ্ট। এখন খুইল্যা মিয়া সহ তার ভাইদের খেত্রেও সেটাই হচ্ছে। এ বিষয়ে সকল প্রশাসনের সতর্ক দৃষ্টি রাখা দরকার।
এটি তাদের পরিবার কে ধ্বংস করার অপকৌশল।