নিজস্ব প্রতিবেদক,ঈদগাঁও
ঈদগাঁও-ইসলামাবাদ যাতায়াতের প্রধান রাজা মিয়া ব্রীজ দিয়ে অনানুষ্ঠানিক চলাচল শুরু হয়েছে। দূর্ভোগ আর দূর্গতি থেকে মুক্তি পেয়েছে শিক্ষার্থী,ব্যবসায়ীসহ পথচারীরা।
জানা যায়,ঈদগাঁও-ইসলামাবাদ (বাশঁঘাটা) সংযোগ পথে রয়েছে খরস্রতা ফুলেশ্বরী নদী। ঐতিহ্যবাহী এ পুরনো নদী পার হতে গিয়ে লোকজনসহ শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়েছিল দীর্ঘকাল ধরে। বর্ষাকালে নৌকা দিয়ে এপার ওপার পার হতে হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের ভয় আর আতংকে ছিল প্রায়শ। কিন্তু দীর্ঘদিন পর হলেও কিছুটা দুর্বিসহ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছে বৃহত্তর এলাকার প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের লোকজন। এলাকার সুপরিচিতি ব্যাক্তিত্ব মরহুম মুক্তিযোদ্ধা ও সদর আ,লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এসটিএম রাজা মিয়ার নামে নামকরণ করে সেতুটির ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল। সেতুটি নির্মানের ফলে পোকখালী,ইসলামাবাদ, ইসলামপুরের হাজার হাজার লোকজনের মাঝে দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরনে জনমনে উচ্ছ্বাস আর আনন্দ বিরাজ করছে। স্থানীয় কজন বয়োবৃদ্ধরা জানান,রাজা মিয়া সেতু নির্মিত হলে এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি হওয়ার পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে । সুফল বয়ে আসবে সব ক্ষেত্রে। নদীর ওপারের কজন জানান,এই সেতু নির্মানে বহুকালের পুন্জিবিত ক্ষোভ কাটিয়ে লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন হচ্ছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অটুট রাখার প্রধানমন্ত্রীকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিবাদন জানান।
প্রসঙ্গত,দীর্ঘকাল ধরে এ সেতুর অভাবে নানাভাবে কষ্ট পেয়ে আস ছিল এলাকাবাসী। দূরবর্তী স্থান হয়ে এলাকার অসহায় লোকজন দেকে প্রযোজনীয় কাজেকর্মে ঈদগাঁও বাজারে আসা যাওয়া করতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদেরকে অতি কষ্টের বিনিময়ে তাদের শিক্ষাঙ্গনে যাতাযাত করে হয়েছিল। নৌকা যোগে এপার ওপার পার হতে হয়ে ছিল সর্বশ্রেনী পেশার মানুষদেরকে।
সচেতন ব্যাক্তিত্ব আবুল মনছুর আহমেদ জানান, নৌকার পারা পারকে বিদায় দিয়ে (২৮ জুলাই) সকাল থেকে অনানুষ্ঠানিক ভাবে ব্রীজ দিয়ে যাতায়াত শুরু করেছে লোকজন।
ইসলামাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান নুর ছিদ্দিক জানিয়েছেন, আপাতত ব্রীজ দিয়ে এলাকার লোকজনসহ শিক্ষার্থীরা চলাচল করছে।
মন্তব্য করুন