নিজস্ব প্রতিবেদক,ঈদগাঁও
সদরের ঈদগাঁওতে এবার ভোটার ফরম না থাকায় বিপাকে পড়েছেন নতুন ভোটার হতে ইচ্ছুক তরুন প্রজন্মরা।দেখা যায়,ভোটার হালনাগাদে সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওতে উঠতি প্রজন্মরা ভোটার হতে মরিয়া উঠেছে। এ লক্ষ্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে ইউপি পরিষদে ভোটার প্রত্যাশী দের ভীড় যেন চোখে পড়ার মত। ২৩শে এপ্রিল থেকে শুরু হয় ভোটার হালনাগাদ প্রক্রিয়া। তৃতীয় দফে ভোটার তালিকায় অন্তভূক্ত হতে গ্রামীন জন পদের নর-নারীরা উৎফুল্ল হয়ে উঠেছে। এছাড়া ভোটার হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্রাধি সংগ্রহ করতে এখনো হিমশিম খাচ্ছে অনেকে। বৃহত্তর এলাকার ইউপি পরিষদে ভোটার হতে ইচ্ছুকরা চেয়ারম্যান সনদপত্র,প্রত্যায়নপত্র, অনলাইন জন্মনিবন্ধন কপি,চৌকিদারি ট্যাকসহ সকল কাগজপত্রে চেয়ারম্যান কতৃক সত্যায়িত করতে ব্যস্তমুখর দিন পার করছে। কেউবা ভাই-বোনের জন্য,কেউবা নতুন বিবাহিত স্ত্রীকে ভোটার করাতে আর কেউবা আত্বীয় স্বজনদের কে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার লক্ষে কাগজপত্র নিয়ে দৌড়ঁঝাপের দৃশ্য চোখে পড়ে। ৩০শে এপ্রিল সকালে ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশ করলে নর-নারীদের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্যনীয়। পরিষদে দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বলাও মহা মুসকিল হয়ে পড়েছে। ভোটার হতে আসা লোকজনকে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে হরেক রকমের কাগজ জোগাড় করতে।
ভোটার প্রত্যাশী ঈদগাঁওর মাইজ পাড়ার কজন এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন,ভোটার তালিকায় নাম অন্তভূর্ক্ত করণ যে এতই কষ্ট তা আগে জানতান না। প্রয়োজনীয় কাগজ সংগ্রহে হিম শিম পড়তে হচ্ছে কদিন ধরে। তারপরেও যেন ভোগান্তির শেষ নেই।
দুয়েক ভোক্তভোগী ক্ষোভের ভাষায় জানান,
এত কষ্টের বিনিময়ে ১৩ ধরনের কাগজ সংগ্রহ করার পরে ওর্য়াড় ভিক্তিক তথ্য সংগ্রহকারীর কাছে জমা দিয়ে ফরম চাইলে,তারা ফরম শেষ হয় বলে জানায়।
চট্রগ্রামের মোবাইল মিকার হানিফ জানান, দোকান বন্ধ রেখে ভোটার হতে বাড়ীতে এসেও ভোটার ফরম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছি।
ঈদগাঁও শিয়া পাড়ার মোহাম্মদ রিয়াদ জানান, ৪/৫ দিন ধরে কাগজপত্র ঠিকটাক করে ফরম না থাকায় ভোটার হতে পারছিনা।
ঈদগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও জালালাবাদ ইউনিয়ন সুপার ভাইজার
রফিক উদ্দিন কক্সবাজার প্রতিদিনকে জানান, দুদফে তাঁর ইউনিয়নে তিনশতটি ভোটার ফরম দিয়েছিল। বর্তমানে ফরম সংকট। ফরম আরো দেয়ার সম্ভাবনা আছে। নতুন ভোটারেরা ফরমের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।
ঈদগাঁও মাইজ পাড়া সরকারী প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক ও ঈদগাঁও ইউনিয়নের সুপার ভাইজার জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন,ভোটার ফরম কিছু কিছু পেয়েছি,সেটি দিয়ে ভোটার পরিপূর্ণ না হলে আরো দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন