এম আবুহেনা সাগর,ঈদগাঁও
চলতি পবিত্র রমজান মাসেও ঈদগাঁও বিদ্যুতের ভেল্কিবাজীতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন রোজাদার। ঘন ঘন লোডশেডিং থামছেনা। বিদ্যুৎ নির্ভরশীল গ্রাহকরা বিপাকে পড়েছে। তারাবি,ইফতার এবং সেহেরীর সময় বিদ্যুতের ভেল্কিবাজী অব্যাহত রয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে লোডশেড়িং বন্ধের দাবী জানান ব্যবসায়ীরা।
প্রাপ্ত তথ্য মতে,জেলা সদরের বৃহৎ বানিজ্যিক উপশহর ঈদগাঁও বাজারসহ উপবাজার সমুহে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একাধিকবার বৈদ্যুতিক লোডশেডিং চলমান রয়েছে। যাতে করে, ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বানিজ্য করতে নানাভাবে কষ্ট পাচ্ছে। এদিকে বিদ্যুত নির্ভর ব্যবসা কম্পিউটার, ফটোকপি,প্রিন্টার্স,স-মিলসহ নানা ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত দেওয়ার উপক্রম শুরু হয়েছে। আবার জনগুরুত্বপূর্ন হাসপাতাল,ক্লিনিকে, ল্যাবের ফ্রিজে রক্ষিত নামীদামী ঔষুধপত্র নষ্টের পথে বললেই চলে। ইসলামাবাদ,ইসলামপুর জালালাবাদ,পোকখালী,চৌফলদন্ডী ভারুয়াখালীসহ ঈদগাঁও ইউনিয়নের প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে বসতবাড়ীর ফ্রিজে রক্ষিত মাছ,মাংস বা তরিতরকারী লোডশেডিংয়ের ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানান গৃহবধুরা। ঈদগাঁও বাজারসহ বিভিন্ন উপবাজারের ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে বিপাকে পড়ছে।ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম অব্যাহত ঘনঘন লোডশেড়িং বন্ধের দাবী জানিয়েছেন। রমজানে লোডশেড়িং সমস্যার সমাধান করা হোক।গ্রামাঞ্চলের গ্রাহকরা কক্সবাজার প্রতিদিনকে জানান,গরম আর রমজানের শুরুতেই লোড শেড়িং শুরু। ব্যবসায়ীসহ লোকজন চরমভাবে বিপাকে পড়ছে। ঘনঘনলোডশেড়িং বন্ধের দাবী।দুয়েক ব্যবসায়ী জানান,দৈনিক বহুবার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করে থাকে। একবার বিদ্যুৎ গেলে কম পক্ষে ঘন্টার মত স্থায়ীত্ব থাকে।কালিরছড়া বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটি সভাপতি জসিম উদ্দিন জানান,একদিকে লোড শেড়িং,অন্যদিকে মনগড়া বিল নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসী। দুই সমস্যা নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন লোকজন। রমজান মাসে তারাবি,সেহেরী ও ইফতারে লোডশেড়িং খু্বই দু:খজনক।ঈদগাঁও পবিসের এজিএম শহিদুল হক জানান, আরো দুই সপ্তাহ বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করবে। দ্রুতগতিতে সাবষ্টেশনে কাজ চলমান রয়েছে। তারপরে ঈদগাঁওবাসী নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাবে।
মন্তব্য করুন