নিজস্ব প্রতিবেদক,ঈদগাঁও
ঘনিয়ে আসছে ঈদুল ফিতর। সেই আনন্দময় ঈদকে টার্গেট করে বৃহত্তর ঈদগাঁওতে হুন্ডির লেনদেন হচ্ছে। চিহ্নিত এসব ব্যবসায়ীরা বিশেষ করে,ঈদগাঁও বাজারসহ গ্রামাঞ্চলে অবস্থিত নানা পয়েন্টে হুন্ডির লেনদেন করে থাকে। চক্ররা হরেক রকম কৌশলী অবলম্বনের মাধ্যমে হুন্ডির লেনদেন করে থাকে। এছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়েও হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো টাকা সরবরাহ দিচ্ছে। সূত্রে প্রকাশ,ঈদগাঁও ইসলামবাদ,জালালাবাদ, পোকখালী,চৌফলদণ্ডী,ইসলামপুর,ভারুয়াখালী প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বহু হুন্ডি ব্যবসায়ী চক্র রয়েছে। হুন্ডির বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযান না থাকার সুযোগে এ চক্ররা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব এবং দুবাই ভিত্তিক এসব হুন্ডির ব্যবসায়ীরা দেদারছে এই ব্যবসা চালাচ্ছে সরকারকে ফাঁকি দিয়ে। আর এতে করে হুন্ডি চক্ররা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত করছে। বিদেশ হতে পাঠানো টাকা স্থানীয়ভাবে কয়েকজন যুবককে কাজে নিযুক্ত করে ব্যবসায় গতিশীলতা অব্যাহত রেখেছে কৌশলে এ চক্ররা। কাজে সিংহভাগই ব্যবহার করছে মোটর সাইকেল। অন্যদিকে ঈদগাঁও বাজারসহ গ্রামাঞ্চলে বিশেষ ব্যক্তিদের সাথে চুক্তির বিনিময়ে ভিন্ন পদ্ধতিতেও হুন্ডি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রকাশ। সূত্রমতে,সিন্ডিকেট ভিত্তিক হুন্ডি ব্যবসায়ীরা আসন্ন ঈদুল ফিতর তথা ঈদকে সামনে রেখে হরদম তাদের এ লেনদেন করে যাচ্ছে নীরবে নিবৃত্তে। সচেতন মহলের মতে,বৃহত্তর ঈদগাঁওর তথা ছয় ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কিংবা গোপনে হুন্ডির লেনদেন কারীদের বিরুদ্ধে বিশেষ ব্যবস্থা সহ অবিলম্বে অভিযান পরিচালনার জোর দাবী তাদের। অন্যদিকে সদরের বহুল আলোচিত বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারের বর্তমান সময়ে ঈদ বাজারে নানা মার্কেটে ব্যবসায়ীরা মহাব্যস্ততায় দিন কাটাচ্ছে। সেই সুযোগে ক্রেতা সেজে জাল নোট চক্ররা ঈদের কেনাকাটার আড়ালে এসব জালনোট ছড়িয়ে দেওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীসহ অভিজ্ঞজনরা। এ বিষয়ে ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আসাদুজ্জামান সুর্নিদিষ্ট অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।
মন্তব্য করুন