মাহাবুবুর রহমান.
ক্রীড়াঙ্গন থেকে মাদক যেন রাহুমুক্ত হতে পারছে না। একেরপর এক ফুটবলার ক্রিকেটার,উশু সহ অনেক খেলোয়াড় ইতি মধ্যে ইয়াবা সহ আটক হয়ে খবরের শিরুনাম হয়েছিল এবার তার সাথে যোগ হলে আরেক ফুটবলারের নাম। তার নাম কায়সার সে কক্সবাজার জেলা ফুটবল লীগ সহ ঢাকা চট্টগ্রামের মাঠে নিয়মিত ফুটবলার ছিল। কায়সার সম্প্রতী ৪ হাজার ইয়াবা সহ ঢাকার মুগদায় আটক হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছে। জানা গেছে কায়সার কক্সবাজার শহরের মোহাজের পাড়ার আলী আকবর (পালক) ও রাবেয়া বেগমের ছেলে। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে দরিদ্র পরিবারের ছেলে কায়সার সম্প্রতী প্রেম ও নারী সংঘঠিক ঘটনার সাথে জড়িয়ে পড়ে একবার জেলও খেটেছে। পরে তার টাকার বিশেষ প্রয়োজন হলে কক্সবাজার ফুটবল মাঠের আরেক ইয়াবা কারবারী মোশারফ তাকে ইয়াবা ব্যবসায় উদ্ভোদ্ধ করে। পরে তার দেওয়া ইয়াবা বেশ কয়েক বার পরিবহন করেছিল তবে সর্বশেষ গত মাসে আটক হয়। এ ব্যাপারে কক্সবাজারের নিয়মিত ফুটবলার ফাহাদ,বাবু,মোবারক,মনির সহ অনেকে বলেন,বর্তমানে ফুটবল মাঠে হট টক হচ্ছে কায়সার ইয়াবা সহ আটক হওয়ার খবর। একই সাথে সবার মুখে মুখে মোশারফের পাঠানো ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে কায়সার আটক হয়েছে। মোশারফ আর কায়সার সব সময় গত কয়েক মাস এক সাথে ছিল তারা প্রায় সময় বিভিন্ন স্থানে আসা যাওয়া করতো। এখানে জুনিয়র ব্যাইচের ফুটবলাররা জানান,কায়সার আগেও কয়েকবার ইযাবা পাচার করছে সে নিজের মুখে বলেছে মোশারফ তাকে ভাল মানের টাকা দিয়ে এ কাজ করায়। তার সাথে আরো কয়েকজন আছে বলেও জানা গেছে। এদিকে মোশারফের খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে তার পুরু পরিবার ইয়াবা ব্যবসায়ি। মোশারফের আসল বাড়ি টেকনাফ উপজেলা হোয়াইক্যয় কাজ্জরপাড়ায়। তার মা জানাহানারার ৩/৪ টি ইয়াবা মামলা আছে বেশ কয়েকবার জেল ও খেটেছে,তার পিতা আবদুশুকুর ও একজন পুরানো ইয়াবা ব্যবসায়ি তার বিরুদ্ধেও মামলা আছে,তার ভাই সাদেরও একজন ইযাবা ব্যবসায়ি তার বিরুদ্ধে ইযাবার মামলা আছে। এ ব্যপারে মূল ইয়াবা কারবারী মোশারফের কাছে জানতে চাইলে সে স্বিকার করেন তার পরিবারের অনেকে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত তবে সে নির্দোষ, কায়সার তার শুধু মাত্র বন্ধ বলে দাবী করেন। এছাড়া সে বর্তমানে কক্সবাজার সিটি কলেজে পড়ছে বলেও জানান। এ সময় তারা বর্তমানে কোথায় থাকে জানতে চাইলে সে নিজেই ভুল তথ্য নিয়ে সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করে তার ঠিকানা অনুযায়ী শহরের এস এম পাড়ার মৌলবী মনজুরের বাড়িতে গিয়ে জানা গেছে তারা ৪/৫ মাস আগে এখান থেকে চলে এসেছে। এলাকাবাসী জানায়.মোশারফের পুরু পরিবার ইয়াবা ব্যবসায়ি তাদের এখানে থাকা অবস্থায় তাদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান করেছিল তাদের আটক ও করেছিল এর পরে এখান থেকে চলে গেছে। অনেক অনুসন্ধানের পরে জানা গেছে এই ইয়াবা পরিবার বর্তমানে তারাবনিয়ারছড়ার মৌলবী আবছারের বাড়িতে থাকে সেখানে গিয়ে মোশারফের বোন এবং পরিবারের কাছে জানতে চাইলে তারা পরিচয় গোপন করে।
এ ব্যপারে কক্সবাজার ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলম বলেন,মাদকের সাথে আমাদের কোন খেলোয়াড় জড়িত থাকলে তাকে আজীবন মাঠে নিষিদ্ধ করা হবে। তাছাড়া অনেকে পরিচয় গোপন করে খেলোয়াড় সেজে ইযাবা ব্যবসা করছে এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমি এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন,ইতিপূর্বে যারাই মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল তাদের কাউকে আর মাঠে আসতে দিনাই। এখনো যারা জড়িত তাদের মাঠে আসার কোন সুযোগ নেই। বরং মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের যা যা করা দরকার সব কিছই করবো।
মন্তব্য করুন