শিরোনাম :
কক্সবাজার সদর উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সুনীল অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে অপ্রচলিত মৎস্য পণ্যের গুরুত্ব অপরিসীম আন্ত: স্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতায় বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি চ্যাম্পিয়ন বিমানবন্দরে ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা পরিবার আটক হোয়ানকের একাধিক মামলার আসামী আবুল কাশেম গ্রেফতার। জনমনে সস্তি কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই ফিরে গেল মিয়ানমার প্রতিনিধি দল জীপ মাইক্রো কার মালিক সমিতির বাসটার্মিনাল শাখার কমিটি গঠিত ইয়াবা মামলায় টেকনাফের ২ জনের যাবজ্জীবন শিক্ষার্থীদের মাঝে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে ধারনা দিল কক্সবাজার বিআরটিএ ‘‘বিশ্ব শান্তির জন্য হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর শিক্ষা ও আদর্শ সর্বাবস্থায় অনুকরণীয়’’

ইয়াবা কিং সাইফুল করিম বন্দুকযুদ্ধে নিহত

রির্পোটার:
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : শুক্রবার, মে ৩১, ২০১৯
  • 592 বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

ইয়াবা কারবারিদের তালিকার প্রধান গডফাদার হিসেবে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ওরফে হাজী সাইফুল করিম অবশেষে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে টেকনাফ স্থলবন্দরের সীমানা এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে তিনি মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। ঘটনাস্থল থেকে ৯টি এলজি, ৪২ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ, ৩৩ রাউন্ড কার্তুজের খোঁসা এবং এক লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে বলেও দাবি করেন ওসি।
নিহত সাইফুল ইসলাম ওরফে হাজী সাইফুল করিম (৪৫) টেকনাফ শিলবুনিয়া পাড়ার মোহাম্মদ হানিফ ওরফে হানিফ ডাক্তারের ছেলে ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সকল গোয়েন্দা সংস্থার তালিকার প্রধান ইয়াবা গডফাদার এবং দেশের এক নম্বর মাদক ব্যবসায়ী ও টেকনাফ থানার কয়েকটি মামলার পলাতক আসামি।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, সাইফুলকে গ্রেফতারপূর্বক ব্যাপক জিজ্ঞেসাবাদে সে জানায়, গত কয়েক দিন পূর্বে ইয়াবার একটি বড় চালান ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে মিয়ানমার থেকে এনে টেকনাফ স্থলবন্দরের সীমানা প্রাচীরের শেষপ্রান্তে নাফনদীর পাড়ে মজুত করা হয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে ইয়াবা উদ্ধারের জন্য বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ওই স্থানে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তার অপরাপর সহযোগী অস্ত্রধারী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। এতে ঘটনাস্থলে এসআই রাসেল আহমেদ, কনস্টেবল ইমাম হোসেন, সোলেমান আহত হন।

ওসি আরও বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আমার নির্দেশে নিজেদের জীবন ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে পুলিশ ৫২ রাউন্ড গুলি করে। একপর্যায়ে আটক সাইফুল গুলিবিদ্ধ হয়। গোলাগুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে পুলিশ গুলি করা বন্ধ করে। একপর্যায়ে অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি করতে করতে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকায় তল্লাশি করে আসামিদের বিক্ষিপ্তভাবে ফেলে যাওয়া ৯টি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ৪২ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ, ৩৩ রাউন্ড কার্তুজের খোঁসা এবং এক লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়।
গুলিবিদ্ধ সাইফুল করিম ও আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ভোররাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইফুলকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ওসি আরও উল্লেখ করেন, সাইফুল করিমের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানার এফআইআর নং-১৫/৩৩৬, তারিখ- ৫ মে, ২০১৯; ধারা-১৯ (ধ)/১৯(ভ) ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন; টেকনাফ থানার এফআইআর নং-১৫/৩৩৭, তারিখ- ৫ মে, ২০১৯; ধারা-৩৬(১) এর ১০(গ)/৪১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮; চট্টগ্রামের ডবলমুরিং মডেল থানার এফআইআর নং-৫৬, তারিখ- ৩০ এপ্রিল, ২০১৯; ধারা-৪ (২) ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন; তৎসহ ২৬ (২)/২৭ (১) ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন; টেকনাফ থানার এফআইআর নং-৪৩/৬৮২, তারিখ- ৯ নভেম্বর, ২০১৮; ধারা-১৯(১) এর ৯(খ)/২৫ ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন; টেকনাফ থানার এফআইআর নং-১০, তারিখ- ৩ মে ২০১৯; ধারা-১৯ (অ)/১৯(ভ) ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন; টেকনাফ থানার এফআইআর নং-১১, তারিখ- ৩ মে ২০১৯; ধারা-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) এর ১০ (গ)/৪১; চট্টগ্রাম সিএমপি হালিশহর থানায় ১৩ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার মামলা নং- ১(৫)১৮, ধারা-১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) এর ৯ (খ)/২৫/৩৩ (১) এর অস্থিত্ব পাওয়া যায়।
এছাড়াও আজকের ঘটনায় অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওসি। ঘটনার পর থেকে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও দাবি করেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই বিষয়ে আরো সংবাদ দেখুন
© All rights reserved © 2021 cox71.com
Developed by WebArt IT