মাহাবুবুর রহমান.
কক্সবাজার পৌর এলাকার বেশির ভাগ সড়ক এবং উপ সড়ক খানা খন্দে ভরা। এসব সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাতো দূরের কথা পথচারীরা হাটতে হিমশিম খাচ্ছে বলে জানান পৌর এলাকার মানুষ। সম্প্রতী বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়াতে ভাঙ্গা রাস্তাতে পানি জমে একাকার হয়ে গেছে ফলে মানুষের দূর্ভোগের শেষ নেই বলে জানান পৌর এলাকার মানুষ। তাই দ্রুত পৌর এলাকার সড়ক উপ সড়ক গুলো মেরামতের দাবী জানান পৌর এলাকার সচেতন মহল।
শহরের টেকপাড়ার রাখাইন অংচ্যে মে বলেন,আমার পুত্রবধু সন্তান সম্ভবা তাই গত সপ্তাহে রিক্সায় করে তাকে বার্মিজ মার্কেট এলাকায় ডাক্তার দেখাতে গিয়ে গিয়েছিলাম। এর আগে তার শরীর ভালই ছিল কিন্তু রিক্সার ঝাকুনিতে অবস্থা খুবই খারাপ হয়েছে। আমাদের বার্মিজ স্কুল থেকে শুরু করে টেকপাড়া হয়ে মাঝির ঘাট যাওয়ার রাস্তাটি এতই খারাপ সেখানে যে রিক্সা নিয়ে যাবে যদি সে বয়স্ক হয় তাকে আগে হাসপাতালে নিতে হবে। আগে হাটা গেলেও এখন পানির জমাতে হাটাও যায় না। মোট কথা খুবই দূর্ভোগের মধ্যে আছি। পেশকার পাড়া এলাকার নজরুল ইসলাম বলেন,পেশকার পাড়ার ভেতর থেকে মাছ বাজারে বের হওয়ার রাস্তাতে সব সময় কাদা আর হাটু পানি লেগেই থাকে ফলে কোন গাড়ীতো দূরের কথা হাটা চলাও করতে পারেনা। বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলারকে বেশ কয়েক বার বল্লেও তিনি এড়িয়ে যান এক পর্যায়ে বলে আমি অসহায় হয়ে পড়েছি।
৫ নং ওয়ার্ডের জনগুরুত্বপূর্ন খুরুশকুল রাস্তার অবস্থা খুবই নাজুক জানিয়ে আবছার উদ্দিন বলেণ,খুরুশকুল রাস্তাটি সংস্কার হচ্ছে না বহু বছর ধরে।ফলে চৌধুরী ভবনের সামনে থেকে খুরুশকুল ব্রীজ পর্যন্ত অন্তত ১০০ টি গর্ত আছে, এতে পড়ে অনেক যাত্রীর অবস্থা খুবই করুন হয়েছে। তিনি বলেণ,আমরা আশা করেছিলাম বর্তমান পৌর মেয়র নির্বাচিত হলে পৌর এলাকার ব্যপক উন্নয়ন হবে কিন্তু সত্যি বলতে আমরা হতাশ। এখনো ঠিকমত ময়লা আবর্জনা মুক্ত করতে পারেনি শহরকে, আর বেশির ভাগ রাস্তা ঘাট খুবই বাজে অবস্থা। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,এসএম পাড়া ভেতরে,দক্ষিন রুমালিয়ারছড়া,বিজিবি ক্যাম্প এলাকার বেশির সড়ক এবং উপ সড়ক খুবই নাজুল বলে জানান এলাকাবাসী।
৬ নং ওয়ার্ডের চেীধুরী পাড়া আবুল বশর,বড়–য়া পাড়ার আনিসুল ইসলাম,ডিককুল এলাকার দিল মোহাম্মদ বলেণ,৬ নং ওয়ার্ডের অন্তত ৭০% রাস্তা চলাচলের অনুপযুক্ত। সত্যি বলতে আগের পৌর পরিষদ যে কাজ করেছিলাম সেটাই, বর্তমানে যে পরিষদ আছে সেটা কোন কাজই করেনি। কিন্তু সাধারণ মানুষ সব থেকে বেশি আসা করেছিল বর্তমান পৌর পরিষদ থেকে যেহেতু বর্তমান পৌর মেয়র সরকারের খুব কাছের মানুষ উনি বেশি বরাদ্ধ আনতে পারবে কিন্তু সেটা দেখেনি পৌরসভার মানুষ। তাদের দাবী শুধু রাস্তাঘাট নয় আরো বেশ কিছু বিষয়ে সাধারণ মানুষ খুব অসন্তুষ্ট। এ সব বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলাররাও নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে বলে জানান এলাকার মানুষ।
এদিকে ১ নং ওয়ার্ডে বৃহত্তর কুতুবদিয়া পাড়ার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে রাস্তায় পলেস্তার উঠে গেছে অনেক আগে এখন ইট সহ উঠে যাচ্ছে রাস্তায় বেশ কিছু গর্ত হয়েছে এতে রিক্সা চলাচল করতে পারেনা এমনকি মানুষ হাটতে গিয়ে গর্তে পড়ে যায়। বিশেষ করে অনেক মহিলা এবং শিশুদের জন্য এই রাস্তা এখন মরণ ফাঁদ হয়ে উঠেছে। আর উপ সড়কের কোথাও ইট পর্যন্ত নেই বেশির ভাড় রাস্তা মাটির তাই সে গুলো সব সময় পানির নিচেই থাকে।
এদিকে ২ নং ওয়ার্ডের অবস্থা খুবই সূচনীয় দাবী করে এলাকার মানুষ বলেন,কেজী স্কুল মোড় থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কটি বাদে বাকি সড়ক এবং উপ সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক যা বলার মত না। সড়কের অবস্থা দেখলে মনেই হবে না আমরা কোন পৌর এলাকার নাগরিক। এ ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলার শাহানা আক্তার পাখি বলেন,এটা সত্য রাস্তার অবস্থা খুবই নাজুক। মানুষের অভিযোগ প্রতিনিয়ত শুনতে হয়। তবে সম্প্রতী মেরীন ফিসারীর পর্যন্ত একটি সড়ক করেছি বাকি গুলোও করার পরিকল্পনায় আছি।
এ ব্যপারে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেণ,বর্ষার মধ্যেও গুরুত্বপূর্ন সড়কের কাজ অব্যাহত আছে। এর আগে পৌর এলাকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন কাজের সংস্কার করা হয়েছে। বাকি সড়ক গুলোও খুব তাড়াতাড়ি সংস্কার করা হবে।
মন্তব্য করুন