নবগঠিত র্যাব-১৫, রামু, কক্সবাজার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন মুছনী এলাকার জনৈক মোঃ দেলোয়ার হোসেন এর বসতবাড়ীতে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য ইয়াবা নিজ হেফাজতে রেখে ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ০৮ জুন আনুমানিক ০৭.৩৫ ঘটিকায় নবগঠিত র্যাব-১৫, রামু, কক্সবাজারের একটি চৌকস আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন উপরে বর্ণিত বসতবাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৩৫) পিতাঃ মৃত মোহাম্মদ হোসেন, মাতা-ফাতেমা খাতুন, ২। মোঃ সেলিম (১৯), পালিত পিতা-মোঃ দেলোয়ার হোসেন, পালিত মাতা-শাহিনা আক্তার (২নং আসামী এতিম হওয়ায় তার পিতা-মাতার নাম বলতে পারেনা), উভয়সাং-মুছনীপাড়া, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার’দের হাতেনাতে গ্রেফতার করে এবং র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ধৃত আসামীদের সহযোগী পলাতক আসামী মোঃ আনোয়ার (৪০), পিতা-মৃত মোজাফ্ফর হোসেন, সাং-পশ্চিম লেদা, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার পালিয়ে যায়। ধৃত আাসমীদের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, তাদের হেফাজতে ইয়াবা ট্যাবলেট আছে এবং পলাতক আসামীসহ তারা দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বসতঘরের খাটের নিচ তল্লাশী করে সর্বমোট ৮০০০ (আট হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট এর মূল্য আনুমানিক ৪০ লক্ষ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্ঠা অব্যাহত আছে। বলে জানিয়েছেন মেজর রবিউল হাসান।
মন্তব্য করুন