কক্স৭১
সামুদ্রিক কাঁকড়া, স্কুইড, অক্টোপাস, ইত্যাদি আমাদের দেশে অপ্রচলিত মৎস্য পন্য হিসেবে পরিচিত। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় এসব পন্য রপ্তানি করে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। শনিবার কক্সবাজারের বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আয়োজিত অপ্রচলিত মৎস্য পণ্যের পরিচিতি ও বহুবিধ ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা এসব তথ্য তুলে ধরেন। বক্তারা জানান, বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে এসব মৎস্য পণ্যের বহুল ব্যবহার এবং রপ্তানিতে উৎসাহ প্রদান করতে হবে। তাছাড়া সামুদ্রিক জীববৈচত্র্য রক্ষায় এসব পণ্যের সঠিক মজুত নিশ্চিত করেও আহরণ করতে হবে। তবেই এই অপ্রচলিত মৎস্য পন্য দেশের সুনীল অর্থনীতির উন্নয়নে অবদান রাখবে। কর্মশালায় উপস্থিত অংশীজনেরা মতামতের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশমালা তুলে ধরেন।
শনিবার ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ প্রকল্পের আয়োজনে উক্ত কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সাজেদুল হক। অতিথিদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মোঃ বদরুদ্দৌজা, ইকোফিশ-২ প্রকল্পের টিম লিডার ড. মোকাররম হোসাইন সহ ইকোফিশ-২ প্রকল্পের বিজ্ঞানী ও গবেষকবৃন্দ, মৎস্যজীবী, মৎস্য ও মৎস্য পন্য রপ্তানিকারক, মৎস্য ও অপ্রলিত মৎস্য পন্য ব্যবসায়ী, সহ-ব্যবস্থাপনা সংগঠনের সদস্য, মৎস্যজীবী সংগঠনের সদস্য, মৎস্য অধিদপ্তর ও অন্যান্য সরকারী /বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকবৃন্দ, শিক্ষাবিদ ও স্থানীয় সংশ্লিষ্ট অংশীজন।
মন্তব্য করুন