মাহাবুবুর রহমান,
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে বার বার ডাক্তারের উপর হামলা এবং তাকে শারিরিক ভাবে নাজেহাল করার ঘটনায় আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সদর হাসপাতাল পরিস্থিতি এতে আবারো থমকে গেছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। তবে এটাকে দুঃখ জনক বলে মন্তব্য করে বার বার হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বাধা গ্রস্থ করতে কোন তৃতীয় পক্ষ কাজ করছে কিনা সেটা খতিয়া দেখার কথা জানান হাসপাতাল কতৃপক্ষ।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাহীন আবদুর রহমান বলেন,৫ দিন ধরে হাসপাতালের স্বাভাবিক চিকিৎসা কার্যক্রম বাধা গ্রস্থ হওয়ার পরে সব পক্ষের সহযোগিতায় সবাই পুরু দমে কাজ শুরু করার দিনই ৯ এপ্রিল বেলা ১১ টার দিকে আবারো হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরউপর হামলা হয়েছে। তিনি জানান এক শিশুর কানের মারাত্বক ইনফ্যাকশন হওয়ার কারনে নাক কান গলা বিভাগের ডাক্তার তাকে হাসপাতালে ভর্তি দিয়েছে কিন্তু অবস্থা ভাল না হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম রেফার করছে ইএনটি বিভাগ। কিন্তু সাহিত্যিকা পল্লী এলাকার এক যুবক এসে সার্জারি বিভাগে কর্মরত ডাঃ আনিসুল ইসলামে কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি ইএনটি বিভাগে। এই কথা বলার সাথে সাথে উক্ত ডাক্তারকে নাজেহাল করে এবং শারিরিক ভাবেও হামলা করে। পরে এই খবর ছড়িয়ে পড়ছে আবারো হাসপাতালে সব বিভাগ বন্ধ হয়ে যায়,পরে প্রশাসন এবং পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়। এখন সব কিছু ঠিক হয়ে গেছে। তিনি বলেণ,কক্সবাজার সদর হাসপাতালের একটি সুনাম আছে সেটা নষ্ট করার জন্য এবং চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য কোন তৃতীয়পক্ষ এখানে কাজ করছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার।এদিকে সচেতন মহলের দাবী শহরের বেসরকারী হাসপাতাল গুলো ইর্ন্টাণ চিকিৎসক নির্ভর। মূলত সেই ইন্টার্ণ চিকিৎসক দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে সরকারি হাসপাতাল বন্ধ করে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা মুখি করছে ইর্ন্টাণ ডাক্তাররা। এ বিষয়ে কোন মন্তব্য না করে জেলা স;র হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ বিধান পাল বলেণ,বার বার ডাক্তারদের উপর হামলা করে পুরু চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে কেউ ফায়দা হাসিল করতে চাই কিনা সেটা খতিয়া দেখা দরকার। তবেএর ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গরীব মানুষ তারা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেনা। এদিকে এর আগে রোগির স্বজন এবং ইর্ন্টাণ ডাক্তারদের মধ্যে অপ্রিতিকর ঘটনায় ৫ দি ধরে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা বন্ধ ছিল।
মন্তব্য করুন