নবগঠিত র্যাব-১৫, রামু, কক্সবাজার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কক্সবাজার এলাকা হতে বিপুল পরিমান মাদক দ্রব্য (ইয়াবা) সহ কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি মাইক্রোবাস যোগে চট্টগ্রামের দিকে আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ২২ মে ২০১৯ ইং তারিখ ০০.৫০ ঘটিকায় নবগঠিত র্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক চৌকস দল কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন লিংকরোডস্থ মেরিন সিটি কমিউনিটি সেন্টারের সামনে কক্সবাজার টু চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর চেকপোষ্ট স্থাপন করে উক্ত মাইক্রোবাসটি আটকপূর্বকঃ আসামী ১। মোঃ জামাল হোসেন (২৯), পিতা-মৃত আতাউর রহমান, মাতা-মৃত হাসনা বেগম, গ্রাম-ঝাউচর, পোঃ নিউটাউন, ২। মোঃ মোরাদ হোসেন (৩৭), পিতা-মোঃ আব্দুল আওয়াল, মাতা-মৃত সাফিয়া বেগম, গ্রাম-আশারিয়ার চর, পোঃ মেঘনা নিউটাউন, উভয় থানা-সোনারগাঁও, জেলা-নারায়নগঞ্জ, ৩। মোঃ শাহজালাল (৩৫), পিতা-মৃতঃ মোহাম্মদ আলী, মাতা-মৃতঃ জুবেদা বেগম, গ্রাম-বড় ভাটের চর, থানা-গজারিয়া, জেলা-মুন্সিগঞ্জ’দের আটক করে। আটককৃত আসামীদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তাদের কাছে ইয়াবা ট্যাবলেট আছে এবং তাদের সহযোগী পলাতক আসামী ১। মোঃ ইসমাইল (৪২), পিতা-অজ্ঞাত, গ্রাম-অজ্ঞাত, থানা ও জেলা-কক্সবাজার এর নিকট হতে ইয়াবা ক্রয় করে ২। মোঃ শামীম (৪৫), পিতা-অজ্ঞাত, গ্রাম-অজ্ঞাত, থানা-সোনারগাঁও, জেলা-নারায়নগঞ্জ, ৩। মোঃ ফারুক হোসেন, পিতা-অজ্ঞাত, গ্রাম-বালুয়াকান্দি, থানা-গজারিয়া, জেলা-মুন্সিগঞ্জ এবং ৪। মোঃ বকুল হোসেন, পিতা-অজ্ঞাত, গ্রাম-পিরোজপুর, থানা-সোনারগাঁও, জেলা-নারায়নগঞ্জ’দের সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতায় দীর্ঘ দিন যাবৎ সম্মিলিতভাবে গাড়িতে করে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় ও পাচার করে আসছে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে উক্ত আসামীদের দেহ তল্লাশী করে বিশেষ কৌশলে লুকানো অবস্থায় সর্বমোট ২,৯৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয় এবং মাইক্রোবাসটিও (ঢাকা মেট্রো-চ-১১-৪১৮২) জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের আনুমানিক মূল্য ১৪ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্ঠা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন অধিনায়কের পক্ষে সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মাহমুদুল হাসান মামুন।
মন্তব্য করুন