নীতিশ বড়ুয়া, রামু
বৈশ্বিক মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারি রামুর গৃহবধূ ছেনুআরা বেগমের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতরাত (বৃহষ্পতিবার, ৩০ এপ্রিল) ১ টায় জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ছেনুআরা বেগম (৬৫) রামুর কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার পূর্ব কাউয়ারখোপ গ্রামের বাসিন্দা আবদুল্লাহর স্ত্রী। বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে মৃত্যবরণ করেন।
রামু উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. সরওয়ার উদ্দিন, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সুপারভাইজার সাইফুদ্দিন খালেদ এর তত্বাবধানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কাফন-দাফন কমিটি জানাযা ও দাফনকার্য সম্পন্ন করেন। এসময় রামু থানা পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
রাত একটার পূর্বে ছেনুআরা বেগমের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে এ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে আসা হয় কাউয়ারখোপ বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন সড়কে। সেখানে অনুষ্ঠিত জানাযায় ইমামতি করেন, মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ।
জানাযায় কাফন-দাফনকারি ছাড়াও মরহুমার ছেলেসহ পরিবারের ৩ জন সদস্য অংশ নেন। এছাড়াও জানাযাস্থল থেকে ১০০ হাত দূরে শতাধিক জনতা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জানাযার নামাজে অংশ নেয়।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান, বৃহষ্পতিবার কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষায় করোনা ভাইরাসে শনাক্ত হন ছেনুআরা বেগম। এটি কক্সবাজার জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রথম মৃত্যু।রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা দুঃখ প্রকাশ করে জানান, দীর্ঘ সময় ধরে অক্লান্ত প্ররিশ্রম করেও রামুকে করোনা মুক্ত রাখতে পারলাম না। জেলার প্রথম করোনাক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হলো রামুতে। তিনি সকলকে সাবধান ও সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান
মন্তব্য করুন