কক্স৭১
মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সেখানকার ‘পরিবেশ-পরিস্থিতি’ দেখতে এবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গেলেন বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধিদল। শুক্রবার (৫ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় টেকনাফের নাফনদীর জেটি ঘাট থেকে প্রতিনিধিদলটি মিয়ানমারের মংডু শহরের উদ্দেশ্যে টেকনাফ ত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, প্রতিনিধিদলে ২০ জন রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতার সাথে বাংলাদেশ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের ৭ কর্মকর্তা রয়েছেন। ২৭ জনের প্রতিনিধি দলটি মিয়ানমারের রাখইন এস্টেটের মংডু টাউনশিপের আইডিপি ক্যাম্পের পরিস্থিতি দেখার কথা রয়েছে। এর আগে রাখাইনে যেতে তালিকায় থাকা ২০ রোহিঙ্গাকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টেকনাফের নাইটংপাড়া বিআইডব্লিউটিএ ‘নন্দী নিবাস’ রেস্ট হাউজে রাত্রি যাপনের নিয়ে আসা হয়।
মিয়ানমারে যাত্রা করা ২৭ সদস্যের মাঝে ৩ নারীসহ ২০ জন রোহিঙ্গা, একজন অনুবাদক ও ৬ জন বিভিন্ন দপ্তরের বাংলাদেশি কর্মকর্তা রয়েছেন। নিরাপত্তার জন্য বিজিবির ২টি স্পিডবোটসহ ১৬ জন বিজিবি সদস্যও রয়েছেন।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র মতে, ইতিপূর্বে মিয়ানমারের টেকনিক্যাল টিম কর্তৃক সাক্ষাৎকার গ্রহণ সম্পন্ন হওয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২৪ থেকে দুইজন, ২৬ থেকে চারজন, ২৭ থেকে ১৪ জনসহ মোট ২০ জন রোহিঙ্গা মিয়ানমার গেছেন। তাদের সাঙ্গে আরআরআরসি (যুগ্ম সচিব) মো. মিজানুর রহমান নেতৃত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি মিলিয়ে ৭ জন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাও রয়েছেন। ২৭ জনের এ প্রতিনিধিদল মংডুর আইডিপি ক্যাম্পসহ ১৫টি গ্রামের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। সূত্র আরো জানায়, প্রতিনিধিদলটি বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে ‘রাখাইনের সার্বিক পরিস্থিতি কতোটুকু অনুকূলে’ রয়েছে মূলত তাই দেখবে।
এর আগে ১৫ মার্চ টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশে আসেন মিয়ানমার সরকারের ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। তারা বাংলাদেশে আশ্রিত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের দেওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা যাছাই-বাছাই করেন। এদিকে মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে এক দেনদরবার বা যাচাই বাছায়ের নামে তালবাহানা করাকে কক্সবাজারের মানুষের সাথে প্রতারণা বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। েএ ব্যাপারে কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাহাবুবুর রহমান বলেন,২০১৭ সালে রোহিঙ্গা আসার সময় বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখতে আসেনি। তারা নিরাপত্তার জন্য এসেছিল এখন মায়ানমারের পরিস্থিতি ভাল তাই কোন আপত্তি ছাড়া তারা ফিরে যাবে এটা স্বাভাবিক। এখানে যাচাই করে সময় ক্ষেপন করা বা তাদের এত জামাই আদর করার প্রশ্নই আসেনা। আমাদের দাবী হচ্ছে যেভাবে তারা এসেছে ঠিক সাভাবেই তারা ফিরে যাবে।
মন্তব্য করুন