শিরোনাম :
‘‘বিশ্ব শান্তির জন্য হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর শিক্ষা ও আদর্শ সর্বাবস্থায় অনুকরণীয়’’ কক্সবাজারে মানবপাচার চক্রের ৪ সদস্য আটক : উদ্ধার ৭ বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতা ফুটবল : চ্যাম্পিয়ন মহেশখালী রানারআপ চকরিয়া বর্ণাঢ্য আয়োজনে ডিসি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন সাংবাদিক মাহীকে ভুল চিকিৎসা: তত্ত্ববধায়ক মোমিনকে বদলি, তিন সদস্য কমিটি গঠন জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত¡বধায়ক ডা: মুমিনের বদলী নতুন আসছেন ডা:মং টিংঞো ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ : ঘোনারপাড়ার নির্মল ধরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা কক্সবাজারে নকল কোর্ট ফি বিক্রি চক্রের ২ জন আটক রোহিঙ্গাদের প্রতিরোধে স্থানীয়দের সর্বাত্মক ভাবে এগিয়ে আসতে হবে সিরাজ আহমদ নাজিরের ২০ তম মৃত্যু বার্ষিকী

যুবদল সম্পাদক ইউপি সদস্য এমপিও ভুক্ত শিক্ষক সবই পারে আবু ইউচুপ

রির্পোটার:
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : বুধবার, জুন ১৯, ২০১৯
  • 543 বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

 

কক্সবাজার রিপোর্ট
আবু ইউচুপ তিনি একাধারে চকরিয়া কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নাম্বার ওয়ার্ডের মেম্বার। একই সাথে চকরিয়া উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবার দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের এমপি ভুক্ত সহকারী শিক্ষক। একের ভেতরে এতগুনে গুনান্নিত ব্যাক্তিকে নিয়ে সর্বত্রই চলছে টানা পুড়ান। জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুবাধে বেশির ভাগ এলাকায় সময় দিতে হয়। সেখান থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত স্কুলে সময় দেওয়া বাধ্যতামুলক। এছাড়া রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়নতো আছেই। ফলে কোনটাই ঠিকমত করতে পারছেনা বলে জানান সকলে। বিশেষ করে তার নিজ কর্মস্থল গোমাতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শিক্ষক আবু ইউচুপ স্কুলে আসেন কালে ভদ্রে। তিনি ক্লাসে আসেন নির্দিষ্ট ক্লাসের সময়ের পরে। এবং মাসের বেশির ভাগ সময় স্কুলে আসেন না।ছাত্রদের দাবী তিনি নিজ এলাকা কৈয়ারবিলে ইউপি সদস্য তাই তিনি সেখানেই বেশির ভাগ সময় ব্যাস্ত থাকে। আর ক্লাস চলাকালীন সময়েও মোবাইল ফোনের কারনে ঠিকমত মনযোগ দিয়ে ক্লাস করাতে পারেন না। বেশ কয়েকজন শিক্ষক বলেন,শিক্ষক নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষক আবু ইউচুপের চাকরী থাকার কথা না। কারন এক ব্যাক্তি ২ জায়গা থেকে বেতন ভাতা নিতে পারেন না। তবে তিনি প্রায় বলে তিনি কৈয়ারবিল ইউপি থেকে সম্মানী নেন না। তবে সরকারি সব ধরনের প্রকল্পতে স্বাক্ষর করেন এবং টাকা নেন এই নিয়ম অনুযায়ীও চাকরী থাকার কথা না। তবে তার প্রধান রক্ষাকবজ হচ্ছে প্রধান শিক্ষক উনার দেওয়া বাড়তি সুবিধার কারনে দীর্ঘ দিন এই অনিয়ম করতে পারছে।
আর স্কুলের ফলাফলও মারাত্বক খারাপ চলতি বছরে উক্ত স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ৪৭ জন এর মধ্যে পাসকরেছে ২০ জন ফেল করেছে ২৭ জন।
এদিকে কৈয়ারবলি ইউপির বেশ কয়েক জন সদস্য বলেন,মেম্বার আবু ইউচুপ পরিষদ থেকে সম্মানী ভাতা নেন না তবে সব ধরনের প্রকল্প নেন এবং সেখানে স্বাক্ষর করেন। আর বেশির ভাগ সময় এলাকাতেই থাকেন। তাহলে শিক্ষককতা করবে কখন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক আবু ইউচুপ বলেন,আমি প্রতিদিন নিয়মিত স্কুল করি। আর পরিষদেও সময়দি। আমি স্কুল থেকে এমপিওর বেতন নি তবে পরিষদের সম্মানী ভাতা নি না। তাই আইনী কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। এ ব্যপারে প্রধান শিক্ষক আবদুল আজিজ বলেন,আগে কিছুটা অনিয়ম করলেও বর্তমানে শিক্ষক আবু ইউচুপ নিয়মিত স্কুলে আসে। এ ব্যপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ছালেহ উদ্দিন চৌধুরী বলেণ, বিষয়টি নিয়ে আমি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

নিউজটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই বিষয়ে আরো সংবাদ দেখুন
© All rights reserved © 2021 cox71.com
Developed by WebArt IT