নবগঠিত র্যাব-১৫, রামু, কক্সবাজার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন টেকনাফ পৌরসভা এলাকা হতে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মটর সাইকেল যোগে ইয়াবার একটি চালানসহ কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ২৯ জুলাই ২০১৯ খ্রিঃ আনুমানিক ১৬.২০ ঘটিকায় অস্থায়ী র্যাব-১৫, রামু, কক্সবাজারের একটি চৌকস আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন মেরিন ড্রাইভ রোডস্থ সেনাবাহিনী চেকপোষ্টের অনুমান ১০০ গজ দুরে মনখালী ব্রীজের উপর বিশেষ চেকপোষ্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। গাড়ী তল্লাশীর এক পর্যায়ে টেকনাফের দিক হতে একটি ঐবৎড় ওএঘওঞঙজ-১২৫পপ রেজিস্টার বিহীন মটরসাইকেলে করে দুইজন যাত্রী চেকপোষ্টের কাছে আসলে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় উক্ত ব্যক্তিদ্বয়কে তল্লাশীর এক পর্যায়ে স্বীকার করে যে, তাদের হেফাজতে ইয়াবা ট্যাবলেট আছে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদ্বয়ের নাম ১। মোঃ শাহজাহান (৪০), পিতা-মৃত অলি আহম্মেদ, মাতা-রেজিয়া বেগম,সাং-করিমগঞ্জ, ডাকঘর-ওয়াজেদিয়া, থানা-বায়েজীদ বোস্তামী (সিএমপি), ২। আব্দুল গফুর (৩৫), পিতা-মৃত আব্দুল শুকুর, মাতা-নুরজাহান বেগম, ডাকঘর-বন্দর, থানা-ডবলমুরিং (সিএমপি) উভয় জেলা-চট্টগ্রাম বলিয়া স্বীকার করে। তারা আরও জানায় যে, ইয়াবা ট্যাবলেটসমূহ পলাতক আসামী ১। আব্দুর রহিম (৩০), পিতা-মৃত ফজল আহম্মেদ, ২। ফসল আহম্মেদ @ ফয়সাল (৪০), পিতা-ফকির আহম্মেদ, উভয়সাং-মাঠপাড়া (মধ্যপাড়া), পোঃ মিঠা পানিরছড়া, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজারদের নিকট হতে ক্রয় করেছে এবং দীর্ঘদিন যাবৎ টেকনাফ এলাকা হতে ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয় করে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে আসছে। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত আসামীদের দেখানো মতে তাদের ব্যবহৃত মটর সাইকেল এর তৈলের ট্যাংকির ভিতর বিশেষ কায়দায় লুকায়িত অবস্থা হতে সর্বমোট ৩,৯০০ (তিন হাজার নয়শত) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকের (ইয়াবা) মূল্য আনুমানিক ১৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন