মাহাবুবুর রহমান.
মানবপাচার সহ সব ধরনের অপরাধ ঠেকাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চতুরপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনি গড়ে তুলতে হবে। হতে পারে সেটা কাটা তারের বেড়া বা সীমানা দেয়াল। এমন কিছু একটা করতে হবে যেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে বা বাইরে যেতে যেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের চোখে পড়ে। একই সাথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবারিত মোবাইলে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রনে এনে সাড়াঁশি অভিযান চালিয়ে মানবপাচারকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আর মানবপাচার ট্রাইবুনাল করে ভ্রাম্যমান আদালতের আওতায় এনে তাদের শান্তি নিশ্চিত করা বেশ কিছু পরামর্শ উঠে এসেছে। ২০ মে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা আইও এম এর সহযোগিতায় মাবনপাচার বিষয়ক সভায় বক্তারা এসব বিষয়ে পরামর্শদেন। সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব)আসরাফুল আফসার। সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাহান আলী। এতে আইওএম এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জরুরী ও নিরাপত্ত বিষয়ক প্রধান ইটনা গুটওয়াছি,মানবপাচার বিষয়ক কর্মকর্তা জনছন মার্টিন। সভায় বক্তারা বলেণ,প্রথম দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাটা তারের বেড়া দেওয়ার পক্ষে অনেক সংস্থা রাজি না হলেও বর্তমান বাস্তবতায় সবাই মনে করছে পুরু রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে নিয়ন্ত্রন করতে হলে শক্ত নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে এর বিকল্প নাই এবং আইওএম এ বিষয়ে সহযোগিতা করবে। এছাড়া অনেক স্থানীয় জনগোষ্টি টাকা লোভে পড়ে রোহিঙ্গাদের অনৈতিক ভাবে সহযোগিতা করে অনেকে তাদের ব্যাক্তিগত আইডি কার্ড ভাড়া দেয় এমনকি আপনজন পরিচয় দিয়ে জাতীয়তা সনদ পেতে সহায়তা করছে তাই অনেক সময় রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প রাখা যাচ্ছে বলেও জানান বক্তারা। আর শুস্ক মৌসুম হওয়াতে বিভিন্ন ভাবে পাহাড় পেরিয়ে রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে বের হয়ে আসছে। এছাড়া বিদেশে থাকা তাদের আত্বীয় স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে মূলত সাগর পাড়ি দিয়ে বিদেশ যেতে রাজি হচ্ছে রোহিঙ্গারা।সভায় বক্তব্য রাখেন আইওএমএর জাতিয় সমন্নয়কারী বিএম মোর্শেদ,বিজিবির মেজর আশরাফ,র্যাব-১৫ এর ডিওডি সুকুমার,বিজিবি টেকনাফের নায়েক মোহাম্মদ আলী,ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক ফাহমিদা বেগম,কক্সবাজার প্রেস ক্লাবেরসভাপতি মাহাবুবুর রহমান,প্রকৌশলী কানন পাল,ইপসা কর্মকর্তা জিসু বড়–য়া প্রমুখ।
মন্তব্য করুন